ফাইল ছবি
পাওনা টাকা চাওয়ায় গোগনগরের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম জাহেরকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা মামলায় মনিরকে মুন্সিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ।
গতকাল ৮ ডিসেম্বর রাত ২টায় মুন্সিগঞ্জ সিপাহিপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দারোগা ফজর আলী। আদালত সূত্রে জানা গেছে, জাহের হত্যা মামলার ৩নং আসামী ও মাষ্টারমাইন্ড মনিরকে ৫দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। কিন্তু রিমান্ড শুনানী না হওয়ায় তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। এর আগে মামলার ৪নং আসামী মোঃ ফয়সাল ও ৫নং আসামী মোঃ আমিরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করেন পুলিশ। এখনো পলাতক রয়েছেন প্রধান আসামী মোঃ সোহেল ও মোঃ আবু তাহের।
এর আগে গত ২ ডিসেম্বর আসামীদের গ্রেপ্তার দাবিতে চাষাঢ়া নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় মানববন্ধনে নিহতের স্ত্রী শিউলী কান্নারত অবস্থায় বলেন, আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাই। হত্যাকারীদের দেশের সবোচ্চ শাস্তি দাবি জানাই। খুনিরা আমার স্বামী হত্যার মত আমাকে ও সন্তানকে মেরে ফেরার হুমকি দিচ্ছে। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে হত্যার বিচার চাই।
এসময় নিহত জাহাঙ্গীরের ছেলে সাকিব হোসেন বলেন, আমার বাবাকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। আমার বাবা নিরপরাধ। তাকে দুই নং রেলগেটের ফজর আলী টাওয়ারে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আসামিরা আমাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সরকারের কাছে আবেদন মোঃ সোহেল, আবু তাহের, মোঃ মনির, মোঃ ফয়সাল, মোঃ আমিরকে ধরে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হোক।
মানববন্ধনে জাহাঙ্গীরের ভাই শিপলু হাসান বলেন, গত ১৩ নভেম্বর আমার ভাইকে বাসা থেকে ডেকে এনে দ্বীন ইসলাম ও ফজর আলীর অফিসে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে। আমার ভাই সুস্থ ছিল। তাকে টাকা দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে তাকে মারধর করে। আমার ভাই তাদের থেকে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকার মত পেত। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গেলে দেখি তিনি গুরুতর অসুস্থ। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। আমি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর পাওনা টাকা দেয়ার কথা বলে জাহাঙ্গীরকে ফজর আলী টাওয়ারে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে আটকে মারধর করে আসামিরা। পরবর্তীতে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান জাহাঙ্গীর। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।