
প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি টিনশেডের বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ রুপালি (২০) নামের এক চিকিৎসাধীন নারীর মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ জনে।
রোববার (৯ মার্চ) সকাল পৌনে ৬টার দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত ৩ মার্চ ভোর রাতে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্নে ভর্তি করা হয়।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ হয়ে নারী ও শিশুসহ ৮ জন এসেছিল। তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রূপালীর সকাল পৌনে ৬টার দিকে মৃত্যু হয়। তার শরীরে ৩৪ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এই নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেছিলেন, শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় আটজনের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিনের ভাষ্য, দুই কক্ষের সেমিপাকা টিনশেড ঘরের নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন গেছে। সেখান থেকে কোনোভাবে গ্যাস লিকেজ হয় এবং তাতে ঘরের ভেতর গ্যাস চেম্বারের সৃষ্টি হয়। যে কোনোভাবে আগুনের সংস্পর্শে এলে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন লেগে যায়।
দগ্ধ লাকীর ভাই আনোয়ার বলছেন, আগুন যখন লাগে, তখন সবাই ঘুমিয়ে ছিল। ওই অবস্থাতেই সবাই দগ্ধ হয়।