
মহাসড়ক অবরোধ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের বন্দর অংশে আবু লাল নামক এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহাসড়ক অবরোধ করেছে তার স্বজন ও স্থানীয়রা। অবরোধকারীদের দাবি নিহতকে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেল ৫ টা হতে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত মহাসড়কের মদনপুর অংশে অবরোধ করা হয়।
নিহত ব্যক্তি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রামপুর থানার দুখু মিয়ার ছেলে।
দেখা গেছে, মহাসড়কের চট্টগ্রামগামী লেনের মদনপুর ওভারব্রিজ অংশে প্রায় ৩৫-৪০ মানুষ একটি মরদেহ নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এসময় অবরোধের কারণে সড়ক তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অবরোধকারীদের দাবি ছিল মৃত ব্যক্তিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
আন্দোলনরত কয়েকজন ব্যক্তি জানান, মাহবুব এবং রাশেদসহ তিনজন মিলে বেধড়ক মারধর করে আবু কালকে। পরে এই অপমান সহ্য করতে না পেরে সে মৃত্যুবরণ করে। এর সঠিক বিচার চান তারা।
পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, নিহত ব্যক্তির সঙ্গে মাহবুব নামক এক ব্যক্তির টাকার লেনদেন ছিল। নিহত আবু লাল তার পরিচিত মাহবুবের হতে টাকা ধার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত তা পরিশোধে বর্থ হচ্ছিল। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার বিকেলে মাহবুব ভিকটিমকে মারধর করে। একপর্যায়ে ভিকটিম অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষ পান করে গুরতর অসুস্থ হোন। পরে তার স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ জাগো নিউজকে বলেন, একজনের মৃত্যু নিয়ে হত্যার বিচারের দাবি আন্দোলন করেছিল স্বজন ও তার এলাকার মানুষজন। তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন যানচলাচল স্বাভাবিক আছে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, নিহত ব্যক্তির সঙ্গে তারই ঘনিষ্ঠ মাহবুব নামের আরেকজনের সঙ্গে লেনদেন নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। গতকাল নিহতকে পাওনাদার মারধর করায় সে বিষপান করেন। পরে তাকে ঢাকাস্থ হক কেয়ার নামক একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় গতরাতেই ভিকটিমের পরিবার মাহবুবের নামে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেছেন। নিহতের মরদেহটি ময়নাতদন্ত শেষে আজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। এরপর হঠাৎ বিকেলে স্বজনরা মহাসড়কে অবরোধ করে। আমরা তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে ফেলেছি। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।