
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে রেখে তার ব্যক্তিগত জমিতে জোরপূর্বক আওয়ামীলীগের নেতা জজ মিয়া ও সন্ত্রাসীবাহীনি রাস্তা নির্মাণ ঘিরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ১৭ মার্চ রবিবার বিকালে রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের টেকনোয়াদ্দা গ্রামবাসী প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিপক্ষ জজমিয়া বাহীনির হট্রগোল ও অস্ত্রের মহড়ায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করেছে।
ভুক্তভোগী যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বিগত ১৬ বছর ধরে মূর্তমান আতঙ্কের নাম উপজেলার টেকনোয়াদ্দার আওয়ামীলীগ নেতা জালিয়াত চক্রের হোতা জজ মিয়া। বিগত সময়ে সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য সালাহউদ্দিন ও সাবেক এমপি গোলাম দস্তগীরের আস্থাভাজন আলমগীর মেম্বার ও নারী নেত্রীদের নিয়ে জবর দখল, হামলা মামলা করে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করতো। ৫ আগষ্টের পর যুবদল নামধারী তাইজুল ও তার সন্ত্রাসী বাহীনি একই কায়দায় নানা অপকর্মে লিপ্ত।
স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজ মিয়া বলেন, টেকনোয়াদ্দা মৌজার বাগপাড়া সংযোগ রাস্তা করার সময় জোর করে পাশ্ববর্তী আওয়ামীলীগ নেতার জমি রেখে একতরফা যুবদল নেতার জমিতে রাস্তা নির্মাণ করেন। এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর । সম্প্রতি জমি মাপঝোঁক করার পর উভয় পক্ষের জমি রাস্তায় নেয়ার দাবী নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। জাহাঙ্গীর তার নিজ মালিকানাধীন জমিতে চলাচল রাস্তা রেখে সীমানা প্রাচীর করেছেন। কিন্তু জজ মিয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহীনি তাইজুলদের চাঁদা না দেয়ায় বাঁধা প্রদান করে। তার অত্যাচারে স্থানীয় হারুন, মোমেনদের জমি বেদখল হয়ে যায়৷
স্থানীয়রা জানান, ১৪ বছর আগে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক নির্মিত টেকনোয়াদ্দা-মাইঝপাড়া-কবরস্থান সড়কটি ছিল এলাকার গুরুত্বপূর্ণ চলাচলের পথ। সে সময় বিএনপি করার জাহাঙ্গীরের জমিতে এক তরফা রাস্তা করে দেয় জজ মিয়ার ষড়যন্ত্রে সাবেক চেয়ারম্যান। এতে জাহাঙ্গীরের ৮ শতক জমি বেহাত হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও পূর্বাচল রাজস্ব সার্কেল উবায়দুর রহমান সাহেল বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্যে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত জমিতে কাজ করলে আপত্তি নেই তবে সরকারী রাস্তা রেখে বাউন্ডারি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করতে আইন পদক্ষেপ চলমান।