সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫

|

চৈত্র ২৩ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

বেড়ানো শেষ করে বাড়ি ফেরা হলো না শিশুটির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:৩০, ৬ এপ্রিল ২০২৫

বেড়ানো শেষ করে বাড়ি ফেরা হলো না শিশুটির

ফাইল ছবি

ঈদের ছুটিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ফুফাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে তিতাস নদীতে গোসল করতে নেমে মারিয়া আক্তার নামে এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে।

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে হোমনা পৌরসভা শ্রীমদ্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মারিয়া আক্তার (১১) নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ এলাকার আলী নেওয়াজের মেয়ে। নেওয়াজের বাড়ি হোমনা উপজেলায় হলেও তিনি নারায়ণগঞ্জে বসবাস করেন।

জানা গেছে, ঈদের দুই দিন পর ফুফাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে মারিয়া আক্তার। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ফুফাতো বোনের মেয়ে সমবয়সী ফাতেমা তুজ জোহরার সঙ্গে তিতাস নদীতে গোসল করতে যায় মারিয়া। নিখোঁজের আগে মারিয়া তার ভাগনি ফাতেমাকে বাড়িতে সাবান রেখে আসতে বলে, সে আরেকটু গোসল করবে এর পরও ফাতেমা তাকে ছাড়া যেতে রাজি হয়নি। আবার বললে বাড়ি যায় ফাতেমা, বাড়ি গিয়ে তার ভাইকে জানায়। পরে মারিয়ার ভাই এমদাদুল গিয়ে তাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা নদীতে নেমে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে মারিয়াকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। চাঁদপুর থেকে আসে ডুবুরি দল। কিন্তু শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। আজ রোববার সকালে আবার উদ্ধার অভিযান চালানো হবে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন শিশুটির মা-বাবা।

ফায়ার ফাইটার রেজওয়ান সমকালকে জানান, শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে খবর পেয়ে আমাদের উদ্ধারকারী দল ও চাঁদপুরের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালায়। কিন্তু শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। রোববার সকালে আবার উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।

ফাতেমা জানায়, ‘নিখোঁজ মারিয়া আমাকে বলে তার গরম লাগছে গোসল করবে। এর পর আমরা ঘাটে যাই, গোসল করি। সে পানি পেয়ে উঠতে চায় না, বলে খালা তুমি সাবানটা রেখে আসো আমি আসতাছি। আমি বলি না, এখন আমার সঙ্গে আয়, সে বলে আসতাছি তুমি যাও। পরে আমি বাড়ি গিয়ে মারিয়ার বড় ভাই এমদাদুল মামাকে জানাই। এর পর ঘাটে এসে আর পাই না, আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে, তাকে খুঁজে না পেয়ে।’ একসঙ্গে কত মজা করেছে বলেই কান্নায় ভেঙে পড়ে ফাতেমা।

হোমনা থানার ওসি নাজমুল হুদা বলেন, ‘পুলিশ পাঠিয়েছি। ফায়ার সার্ভিসকে বলেছি, ডুবুরি দল এনে শিশুটি উদ্ধার করতে।’