রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

|

চৈত্র ২৮ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

নারায়ণগঞ্জে ৩ লাশ: ‘চার দিন’ আগে হত্যা, আটক ব্যক্তি ‘নেশাগ্রস্ত’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ১১ এপ্রিল ২০২৫

নারায়ণগঞ্জে ৩ লাশ: ‘চার দিন’ আগে হত্যা, আটক ব্যক্তি ‘নেশাগ্রস্ত’

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন অন্তত চার দিন আগে খুন হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পরিবারের কর্তাব্যক্তিকে একটি কলাবাগান থেকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আটক করা হয় বলে দাবি পুলিশের।

শুক্রবার দুপুরে উদ্ধার লাশ তিনটির পরিচয় জানার পরই তাকে আটক করা হয়।

নিহতরা হলেন- সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়ার প্রয়াত আব্দুস ছামাদের কন্যা পোশাক কর্মী লামিয়া আক্তার (২২), লামিয়ার ছেলে রাফসান লাবিব (৩) ও বড়বোন স্বপ্না আক্তার (৩৫)।

গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন (২৩) নিহত লামিয়ার স্বামী এবং পাশের দক্ষিণপাড়া এলাকার মো. মোহসীনের ছেলে।

শুক্রবার দুপুর সোয়া একটার দিকে মিজমিজি পশ্চিমপাড়া পুকুরপাড় এলাকায় বাসার সামনের রাস্তার পাশে মাটিচাপা অবস্থায় লাশগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।

পশ্চিমপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত পরিবারটি। গত মাসের শেষ দিকে বাসাটি ভাড়া নেন তারা। বাসার সামনের রাস্তার পাশে ময়লার স্তুপে একটি হাত দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জায়গাটি পরিষ্কার করে লাশ তিনটি উদ্ধার করে।

লামিয়া ও তার বড়বোন স্বপ্নার হাত, পা ও মাথা খণ্ডিত অবস্থায় বস্তাবন্দি ছিল। আর শিশুটির লাশ অখণ্ডিত অবস্থায় পাওয়া যায়।

প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার সন্দেহে লামিয়ার স্বামী ইয়াসিনকে আটক করা হয় বলে জানান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ সার্কেল) মো. হাসিনুজ্জামান।

নিহত লামিয়ার মেজোবোন মুনমুন পাশের এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, গত সোমবার দুপুরে লামিয়ার বাসায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফিরে ফোন দিলে লামিয়ার নম্বরটি বন্ধ পান তিনি। তবে ব্যস্ততার কারণে বোনের আর খোঁজ নিতে পারেননি।

মুনমুন আক্তার আরো বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন লামিয়া। বড়বোন স্বপ্না আক্তার কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও বোনের বাসায় থেকে শিশু রাফসান লাবিবকে তিনি দেখাশোনা করতেন।

“প্রেমের সম্পর্কে ২০২২ সালে ইয়াসিনকে বিয়ে করেন লামিয়া। ইয়াসিন মাদকাসক্ত। কোনো কাজকাম করতো না। তার বাবায় একটা অটোরিকশা কিনে দিলেও ঠিকমতো সেটাও চালাইতো না। কাজকাম না করায় প্রায়ই বোনের কাছে টাকা চাইয়া ঝগড়া করতো। টাকা না দিলে মারধরও করতো। ও ছাড়া আর কারো এইসব খুন করার কারণ নাই”, বলেন লামিয়ার মেজোবোন মুনমুন।

নিহতরা যে বাসায় থাকতেন সেখানে হত্যাকাণ্ডের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা হাসিনুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ইয়াসিন খুনের ব্যাপারে কোনোকিছু স্বীকার করেননি।”

হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে হাসিনুজ্জামান বলেন, “সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এই ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।“