
ফাইল ছবি
বিল বকেয়া থাকা ও সময়মতো সাইট বুঝে না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে ২০২৩ সালের মার্চে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের মধ্যে নতুন একটি রেললাইনের নির্মাণকাজ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশন অব চায়না লিমিটেড। ওই সময় রেলপথটির নির্মাণকাজের অগ্রগতি ছিল ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এ অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে দুই বছর পর নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগের ঠিকাদারের করা নতুন ডুয়াল গেজ লাইনের কাজ শেষ করার পাশাপাশি বিদ্যমান মিটার গেজ লাইনকেও ডুয়াল গেজে রূপান্তর করে দেবে নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিপিটি-স্ট্যান্ডার্ড জয়েন্ট ভেঞ্চার।
গতকাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে এসব কাজ বাস্তবায়নের জন্য ৩১৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। চুক্তি অনুযায়ী, ১৮ মাসের মধ্যে কাজগুলো বাস্তবায়ন করে দেবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাজের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথের সমান্তরালে নতুন একটি ডুয়াল গেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয়ও বেড়েছে। ৩৭৯ কোটি থেকে নির্মাণ ব্যয় উন্নীত হয়েছে ৬৫৮ কোটি টাকায়। একই সঙ্গে প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে নেয়া হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক সেলিম রউফ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আগে শুধু একটি লাইন নির্মাণের সংস্থান রেখে প্রকল্পটি চলছিল। এখন দুটি লাইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে যে মিটার গেজ লাইনটি রয়েছে, সেটি নতুন করে ডুয়াল গেজে রূপান্তর করা হবে। মূলত এ কারণেই ব্যয় বেড়েছে।’