
ফাইল ছবি
রংপুর নগরীর হারাগাছ এলাকায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ ও রংপুর থেকে তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ১১টার দিকে ৩ ধর্ষককে আদালতে হাজির করা হলে দুজন ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
আসামিরা হলেন কুড়িগ্রাম জেলার ভুরাঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারী ঝাড় হারেকুটি এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে শামীম হোসেন (২৩) রংপুর মহানগরীর হারাগাছ নারায়ন মাছহাড়ি এলাকার এজাহারুল ইসলামের ছেলে আজম আলী (১৯) এবং হারাগাছের ধুমেরকুঠি এলাকার মাহফুজার রহমানের ছেলে বাবু (২৬)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী।
পুলিশ জানায় গত ৫ মার্চ রংপুর মহানগরীর হারাগাছের ধুমেরকুটি এলাকায় শামিম নামে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়দানকারী এক ব্যাক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় ভিকটিম গৃহবধূর। তার বাড়ি দিনাজপুর জেলা শহরের সদরপুর এলাকায়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শামীম নামে পরিচয়দানকারী সেনাসদস্যের ব্যাক্তিটি ওই গৃহবধূকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রংপুর নগরীর সাহেবগঞ্জ এলাকায় ডেকে আনে। ভিকটিম ১১ লাখ টাকা নিয়ে শামীমের ডাকে সাড়া দিয়ে সাহেবগঞ্জ এলাকায় আসে। এরপর শামীম তার অন্য দুই সহযোগী আজম ও বাবু গৃহবধূকে রাস্তার পাশে একটি ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে তার কাছে থাকা ১১ লাখ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। ভিকটিম গৃহবধূর আত্মচিৎকারে আর্শ্বে পার্শ্বের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী জানান, প্রধান আসামিসহ দুজনকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণ ও ১১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের আদালতে নেয়া হয়। ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মামলা হবার পর পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য সাড়াশি অভিযান পুরিচালনা করে ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।