ফাইল ছবি
৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর থেকে বন্দরে চাঁদাবাজি ঘটনা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চাঁদাবাজদের দৌরত্ব বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে বন্দরে আইন শৃঙ্খলা চরম অবনতি ঘটেছে। এমন কথা জানিয়েছে সচেতন মহল।
এর ধারাবাহিকতায় গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাত ১২টায় ৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে বন্দর থানার ঘারমোড়া এলাকায় এক ব্যবসায়ী বাসভবনে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গিয়ে কে এফ এইচ আকলিমা কর্পোরেশনের মালিক ব্যবসায়ী অনিক (৩০) আহত হয়।
এ ঘটনায় আহত ব্যবসায়ী মা আশুরা বেগম বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে হাবিব মেম্বারসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার ঘারমোড়া এলাকার মহিউদ্দিন মিয়ার ছেলে অনিকের উল্লেখিত এলাকায় কে এফ এইচ আকলিমা কর্পোরেশন নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে একই এলাকার মৃত সোনা মিয়ার ছেলে হাবিব মেম্বারসহ তার ৩ ভাই আতাবর, মজিবর ও হবিবর তার ৫ ভাতিজা সাদ্দাম, কাউছার, মনজিল, মুরাদ, মেরাজ ও শাওন চরঘারমোড়া এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে তারকাটা মামুন একই এলাকার র্মিজা মিয়ার ছেলে রিপন ও ঘারমোড়া এলাকার ওয়াজল মিয়ার ছেলে আনার হোসেনসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন সন্ত্রাসী অভিযোগের বাদিনী ছেলে ব্যবসায়ী অনিকের নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল।
এর ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাত ১২টায় উল্লেখিতরা আমাদের বসত বাড়িতে এসে জরুরি কথা আছে বলে আমার ছেলেকে বাসা থেকে ডেকে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে গিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমার ছেলে চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ না করলে ওই সময় সন্ত্রাসী সাদ্দামসহ উল্লেখিত বিবাদীগন ধারালো দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অনিকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় হাবিব মেম্বার হত্যার উদ্দেশ্য আমার ছেলে অনিককে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। ওই সময় হামলাকারি কাউসার,মনজিল,মুরাদ ও মেরাজ লোহার পাইপ, হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে। খবর পেয়ে আমার মেঝো ছেলে সিফাত দ্রুত ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময় হামলাকারিদের ভয়ে আমার দুই ছেলে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায়। পরে রাত ১টায় উল্লেখিত হামলাকারিরা আমাদের বসত বাড়িতে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে বাড়ি ঘর ব্যাপক ভাংচুর করে নগদ ৭ লাখ টাকা ও সাড়ে ৪ ভরি স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ ছাড়াও হামলাকারি আতাবর ও মজিবর আমার স্বামীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। তাদের হুমকি দামকি কারনে আমার সন্তানরা ঘর ছাড়া। হামলাকারীদের ভয়ে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। ন্যায় বিচারের আশায় এ ব্যাপারে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।