ফাইল ছবি
বন্দরে হোসিয়ারি শ্রমিক সোহান হত্যা মামলার এজাহাভূক্ত আসামী রোহান (২৩)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত রোহান বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া এলাকার আনোয়ার হোসেন মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতকে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গত সোমবার (৪ নভেম্বর) রাতে বন্দর ১নং খেয়াঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত রোববার (১৩ অক্টোবর) রাত সোয়া ৮টা থেকে পৌন ৯টার মধ্যে যে কোন সময়ে বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের রুপালী আবাসিক এলাকার জনৈক মুস্তাক মিয়ার ২য় তলা বিল্ডিংয়ের নীচ তলার গেইটের ভিতরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে গত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) নিহতের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৯(১০)২৪ ধারা- ৩০২/ ১১৪/ ৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০।
মামলার বাদিনী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানাগেছে, বন্দর থানার সালেহনগর এলাকার জনৈক হীরা মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া দিনমজুর সালাম মিয়ার ছেলে সোহান পেশায় একজন হোসিয়ারি শ্রমিক। এ সুবাদে হোসিয়ারি শ্রমিক সোহানের সাথে একই এলাকার কাজল মিয়া ও তার ছেলে রাজগংদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতা চলছিল।গত রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে সোহান বাড়িতে ছিল। পরে ওই দিন রাত ৭টায় সোহান বাসা হইতে বের হয়ে যায়। উক্ত বিরোধের জের ধরে রোববার রাত সাড়ে ৮টার সময় বিএনপি নেতা কাজলের হুকুমে তার সন্ত্রাসী ছেলে রাজসহ অজ্ঞাত নামা ২০/২৫ জন কিশোর অপরাধী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের রুপালী আবাসিক এলাকার জনৈক মুস্তাক মিয়ার ২য় তলা বিল্ডিংয়ের নীচ তলার গেইটের ভিতরে হোসিয়ারি শ্রমিক সোহানের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারীরা সোহানকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
সোহান হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আব্দুল জলিল গনমাধ্যমকে জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে বন্দর ১নং খেয়াঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে রোহানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে।