
ফাইল ছবি
গত শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) সকালে বন্দরের দীঘলদী শুক্কুর মিয়ার বাড়িতে (হুজুর বাড়ী সংলগ্ন) চাঁদা না পাওয়ায় হামলা করে দুলাল গং। এরই প্রেক্ষিতে বন্দর থানায় অভিযোগের সুরাহা না মিললে ঘটনার চার (০৪) দিন পর মামলা করলো ভুক্তভোগী শুক্কুর আলীর স্ত্রী সালমা (৪৩)।
উল্লেখ্য পূর্ব শত্রুতার জের ধরে । দুলাল (৪৩), ২। রানা (৩০), পিতাঃ নায়েব আলী, সাং- সাবদি, ৩। মোঃদিপু (২৭), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-হাজারী চানপুর, ৪। নান্টু বাবু (৩০), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-জিওধরা, ৫। মাওছছা স্বপন (৩০), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-শাহীমসজিদ, ৬। আনোয়ার (৪৭), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-শাহীমসজিদ, থানা-বন্দর, জেলাঃ নারায়ণগঞ্জ সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন গত ৩১ জানুয়ারী সকাল ৬ ঘটিকায় কাঁচা মাল ব্যাবসায়ী মোঃ শুক্কুর আলীর দীঘলদী'র বাড়িতে এসে গেইট খুলতে বলে ও দুই লক্ষ (২,০০,০০০) টাকা চাঁদা দাবী করে এবং তৎক্ষনাৎ গেইট না খুললে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এব্যাপারে শুকুর আলীর স্ত্রী সালমা(৪৩) ঘটনার বর্ননা দিয়ে বলেন,বাসার গেইট না খুললে দুলাল বাহিনী কৌশলে গেইট খুলে অনধিকারভাবে ঘরে প্রবেশ করে এবং পূর্বের দাবিকৃত দুই লক্ষ টাকা (২০০,০০০) চাঁদা দাবী করে এবং প্রত্যেকে ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র সজ্জিত হইয়া বাসার ভিতরে অবস্থান নেয়। হামলাকারীরা দুলালের নেতৃতে অস্ত্রধারীরা আমার স্বামী মোঃ শুক্কুর আলীকে হত্যা করার জন্য এবং তাদের সাথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন আমার স্বামী এবং আমার ডাক চিৎকারে পুরো এলাকাবাসী জড়ো হয়ে আমাদের বাড়ীর পিছনে থেকে আমার স্বামীকে হামলাকারীদের নিকট হইতে উদ্ধার করে।পরবর্তীতে এলাকাবাসীর তোপের মুখে আমাদেরকে প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এঘটনায় ভুক্তভোগী শুকুর আলীর স্ত্রী সালমা আরও জানান হামলাকারীরা যাওয়ার সময় ৫ ভরি সোনা,৩০ ভরি রুপা,নগদ ৮০ হাজার টাকা, ৪টা সিসি ক্যামেরা,৪৩ ইঞ্চি টিভি, বৈদ্যুতিক চুলা,গ্যাসের চুলা,ওভেন,১০ টা মুরগী সহ দামী জামাকাপড় নিয়ে যায়।
এব্যাপারে সালমা (৪০) বাদী হয়ে বন্দর থানায় গত শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) অভিযোগ দায়ের করলেও আসামীদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ বা মামলাও নিচ্ছে না।এরই প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী শুক্কুর,র স্ত্রী সালমা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বন্দর আমলী আদালতে ৩২৩/৩২৪/৪৪৮/ ৩৮৫/৩৫৪/৩৮০/৩৮২/৪২৭/৫০৬ ধারায় মামলা করেন।
এঘটনায় গণমাধ্যম কর্মীদের শুক্কুর আলীর স্ত্রী সালমা বলেন, দুলাল এবং তার সহযোগীরা প্রভাবশালী হওয়ায় বন্দর থানায় অভিযোগের পর মামলা নেয়নি বা কোন পদক্ষেপও নেয়নি। গত চার (০৪) ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা পরবর্তী দুলাল,রানা গং আমার দিঘলদী বাড়িতে অস্ত্র নিয়ে মোহরা দিচ্ছে।আমরা ভয়ে আতংকিত হয়ে বাড়ি ছাড়া হয়ে একেক সময় একেক জায়গায় অবস্থান করছি। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক সঠিক বিচার দাবি করে সন্ত্রাসী দুলাল গংদের জেল হাজতে রেখে সুবিচার দাবি করছি।