ফাইল ছবি
অনিয়ম, দূর্ণীতি, স্বেচ্ছাচারীতা ও অদক্ষতার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের জাঙ্গীর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহমেদের পদত্যাগের দাবীতে গত সপ্তাহ ব্যাপি ক্লাস বর্জনসহ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ,প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে হামলার ঘটনা ঘটলে বিক্ষুদ্ধরা ডেমরা কালীগঞ্জ সড়কের কুদুর মার্কেট এলাকায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। এতে উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। এদিকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের তীব্র আন্দোলনের মুখে প্রধান শিক্ষক সহ সব শিক্ষকরা বিদ্যালয় কক্ষে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকার ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ডেমরা কালীগঞ্জ সড়কের কুদুর মার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের অবরোধ কালে তাদের বক্তব্যে জানা যায়, গত ১৬ বছর ধরে ফরিদ আহমেদ বিদ্যালয়ে প্রথমে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এক সময় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেন। কিন্তু তার অদক্ষতার কারনে লেখা পড়ার মান কমতে থাকে, সহকারী শিক্ষকরাও তার কাছে জিম্মি হয়ে যায়। এভাবে বিদ্যালয় থেকে নানা খাত দেখিয়ে ৮ লাখ টাকার মতো লুটে নেয়। এছাড়াও অতিরিক্ত ফি আদায়, শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে না জানিয়ে কাঞ্চনের হাজী রফিজুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নেন। কিন্তু ৮ মাস না যেতেই সেখানে নানা অনিয়মে জড়িত হলে তাকে তাড়িয়ে দেয়। আবার জাঙ্গীর উচ্চ বিদ্যালয়ে ফেরত আসে। এভাবে নানা অনিয়মের মাধ্যমে এখানকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবন ধ্বংসে মেতে ওঠে। শুধু তাই নয়, আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে বাঁধা দিয়ে তার লোকজন ওবায়দুর,সুমনগং সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে। এতে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শুভ, মেহেদী হাসান, আলিফ, রানা, ৯ম শ্রেণির জিহাদ,তামিমসহ আরও ৫ জন আহত হয়।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জাঙ্গীর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহমেদ বলেন, আমি আন্দোলনের কাউকে হামলা করিনি, কোন টাকা পয়সা নয়ছয়ে জড়িত নই। তবে আমাকে অযোগ্য ভাবলে কর্তৃপক্ষ বললে আমি পদত্যাগ করবো।