বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

|

অগ্রাহায়ণ ৬ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

সিদ্ধিরগঞ্জে নিজ জমিতে দেয়াল তুলতে বাঁধা, জমি মালিককে মারধর 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ৯ নভেম্বর ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে নিজ জমিতে দেয়াল তুলতে বাঁধা, জমি মালিককে মারধর 

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে খোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তির বসতবাড়ির দেয়াল তুলতে বাঁধা দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ তার বাড়ির জমিতে বাউন্ডারি দেওয়াকালীন সময়ে তিনি ও তার পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে মৃত দলিল লেখক মোহাম্মদ আলীর ছেলে জাতীয় পার্টি নেতা জীবন ও তার চাচা লিয়াকতের পরিবাররের সদস্যরা। পরবর্তী সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন যাবত ভুক্তভোগী খোরশেদ আলম ও তার প্রতিবেশী অপু নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছি। খোরশেদ আলম যখন তার বাড়ির প্রাঙ্গনে দেয়াল তোলার কাজ ধরে তখন বাঁধা দেয় অপু ও নাঈমসহ বেশ কয়েকজন। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে দারস্থ হয়েছিল তিনি। মূলত সড়কের জমি ছাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় উভয়পক্ষ মধ্যে। পরবর্তী আজ শনিবার সকালে খোরশেদ আলম আবারও বাউন্ডারি তোলার সময়ে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে জাতীয় পার্টি নেতা জীবন ও তার আত্মীয় স্বজনরা। 

পূর্বের অভিযোগে খোরশেদ আলম তুলে ধরেছিলেন, তার প্রতিবেশী মৃত শহিদুল্লার ছেলে অপু (৩৫) ও লিয়াকতের ছেলে নাঈম (২৬) এর সঙ্গে বাড়ির জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ঝামেলা হয়ে আসছিল। এই বিষয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্তরা কয়েক দফায় বিচার করে মিমাংসার চেষ্টা করলেও তাদের কথার তোয়াক্কা করেনি অভিযুক্ত অপু ও নাঈমসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা। পরবর্তীতে ১৩ অক্টোবর খোরশেদ আলম তার জমিতে বাউন্ডারির কাজ শুরু করলে এই দুই অভিযুক্তসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জন কর্মরত শ্রমিকদের মারধর করে দেয়াল ভেঙে ফেলে।

এ বিষয়ে খোরশেদ আলম জানান, আমার জমির উপর আমি বাউন্ডারি করার চেষ্টা করছি তবুও আমাকে বাঁধা দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এই বিষয়ে আমি আগেও অভিযোগ দিয়েছে থানায়। তবে, আজ শনিবার আবারও আমাদের প্রতিবেশী মৃত মোহাম্মদ আলীর তিন ছেলে জীবন, রনি ও দিপু এবং মোহাম্মদ আলীর ভাই লিয়াকত ও তার পরিবারের সদস্যরা আমি এবং আমার ছোট ছেলের উপর হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা অপুর সঙ্গে জোট বেধে আমাদের উপর হামলা চালান। 

অভিযোগের সত্যতা জানতে জাতীয় পার্টি নেতা জীবনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। 

এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) একেএম মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, তাদের নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের ঝামেলা। আমরা যাওয়ার পর দেখেছি খোরশেদ আলম ও তার ছেলেদের জামা-কাপড় ছেঁড়া। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। উনারা উভয়ে ডিসিশন নিয়েছে আগামীকাল এলাকার গণ্যমান্যদের নিয়ে বিচারে বসবে।