ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া (২৪) নামে এক তরুণকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে প্রধান আসামি করে আরো মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩৫০ থেকে ৪৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল মামুন। এর আগে রোববার রাতে ভুক্তভোগী তরুণ মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলায় শামীম ওসমান ছাড়াও তার ভাতিজা আজমেরি ওসমান (৪৫), তার ছেলে অয়ন ওসমান (৩৭) মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম (৫৬), সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মজিবর রহমান (৭৮), সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া (৬২), সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান মতি (৫৫) ও সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের ভাই কাউন্সিলর নুর উদ্দিন মিয়াসহ (৫৫)সহ ৯৮ জনকে আসামী করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক সড়কের উপর শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান ও আজমিরি ওসমান গংরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যার জন্য বাদীকে গুলি বর্ষণ করে। এ সময় দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় একটি গুলি বাদীর বুকের ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় জনতা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সাইনবোর্ডস্থ প্রো একটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যায়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে সেখানে তার অপারেশন করা হয় বলে মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়।