প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলায় ৬ জন আহতের ঘটনায় বিচারের দাবীতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা অবরোধ করে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এই বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মিছিল নিয়ে মহাসড়কে বিক্ষোভ শেষে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সামনে এসে থানার গেট অবরোধ করে মানববন্ধন করেন সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।
এসময় নিহতের মেয়ে বলেন, আমার ভাই, আমার মা ও বাবা সকলকে আহত করা হয়েছে। এই শোকে আমরা মা স্টক করে মারা যান। ওরা কীভাবে পুলিশের সামনে এতগুলো মানুষকে মারল। পুলিশ ওদের তুলে এনে ছেড়ে দিয়েছে। তারা মামলা নেয়নি। তিনি বলে উনি বিএনপির নেতা, মামলা দেয়া যাবে না। তারা এখনও হুমকি দিচ্ছে আমার বাবাকে যেখানে পাবে মেরে ফেলবে। আমার বাবা, আমার ভাইয়েরা মায়ের জানাজায় যেতে পারেনি। আমি এর বিচার চাই।
তিনি আরও বলেন, এসআই মাহাবুব আমাদের সেখান থেকে এনে পুলিশের সামনে নামিয়ে দিয়েছে। বলে আপনাদের বাঁচিয়ে এনেছি। মেরে ফেলেনি ভাগ্য ভাল। প্রশাসনের সামনে কীভাবে আমার বাবাকে মারল আমি এর বিচার চাই।
নিহতের ছেলে রোমান জানান, আমরা সে বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার ভাইকে মারছে। আমি সেখানে ঠেকাতে গেলে আমাকে মারধর করে কুপিয়ে আহত করেছে। প্রশাসন সামনে ছিল। এসআই মাহাবুবের সামনে আমাদের মেরেছে। আমাদের পুলিশের গাড়িতে ওঠানোর সময়ও আমার বাবাকে কোপ দিয়েছে। আমাদের থানায় না নিয়ে চিকিৎসা না দিয়ে আমাদের সিদ্ধিরগঞ্জ পুলের সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে গেছে।
তিনি আরও বলেন, রাতে আমার বাবা মামলা করতে আসলে তারা মামলা নেয়নি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মামুন বলেছে, তারা বিএনপি করে। ওরা মুন্সীর লোক। তারা বললে মামলা হবে, নয়ত হবে না। এর পরের দিন সকালে আমার মা মারা যায়।
এদিকে থানা ঘেরাও করে আন্দোলন চলতে থাকলে এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিন আলম।
আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, আমাদের অফিসারের অনেক স্বল্পতা রয়েছে। এ নিয়েই আমরা কাজ করার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে অবশ্যই আমরা ব্যাবস্থা নেব। এখানে সঠিক বিচার হবে, এর কোন ব্যাত্যয় হবে না।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর বাসা ভাড়া চাইতে গেলে আশরাফ মিয়া ও তার ছেলেদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ২ ডিসেম্বর মোঃ আশরাফ মিয়া (৫২) বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- মোঃ মনির হোসেন (৩৫), চাঁন মিয়া (৬৫), জাহান (১৯), ওয়াদুদ (২৮), গনি মিয়া (৫০), নাজমুল (৩০)।