ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
নারায়ণগঞ্জের মহাসড়কসহ সকল সড়কে সিএনজি চলাচলের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন চালকরা। রবিবার দুপুরে মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় মৌচাক মোড় ও সোনারগাঁয়ে কাঁচপুর এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় শত শত যানবাহন মহাসড়কে আটক পড়ে। চালকদের এ অবরোধের কারণে চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে এ মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রী ও যানবাহন চালক-শ্রমিকদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা সিএনজি মালিক-চালক সমিতির ব্যানারে চালকরা প্রথমে মহাসড়কের সানারপাড় মৌচাক এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ শুরু করেন। এতে নারায়ণগঞ্জে চলাচলরত বিভিন্ন এলাকার সিএনজি’র চালকরা এ অবরোধে যোগ দেন। এ সময় তারা মহাসড়কে চলাচলের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে সিএনজি চালকরা মৌচাক থেকে মিছিল নিয়ে এ মহাসড়কের কাঁচপুর এলাকায় একই দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা এক ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ অবরোধের কারণে মৌচাক থেকে কাঁচপুরসহ আশপাশে প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালক-শ্রমিকরা।
চালকরা বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ সকল মহাসড়কে সিএনজি চলতে দিতে হবে। তাদের গাড়ির বিরুদ্ধে কোন মামলা দেওয়া যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসাধু কর্মকর্তারা টাকার বিনিময়ে কিছু সংখ্যক গাড়ি চলতে দিলেও সব সিএনজিকে মামলা দিচ্ছেন। সিএনজি চালকরা আরো বলেন, এমনকি রেকার বিলের নামে ও মামলার ভয় দেখিয়ে শিমরাইল, মৌচাক, সানারপাড়, সাইনবোর্ড ও কাঁচপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক পরিদর্শকসহ পুলিশরা চালকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। আমরা এগুলো থেকে রেহাই চাচ্ছি।
এ বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ টিআই আবু নাঈম সিদ্দিকী বলেন, সিএনজি চালকরা মহাসড়কের চলাচলের দাবিসহ অবৈধ দাবি নিয়ে সানারপাড় মৌচাক ইউটার্ন ঘুরে কাঁচপুরের চাঁদমহল সিনেমা হলের সামনে গিয়ে মহাসড়ক ব্যারিকেড দেন। এখানে তারা ৩৫-৪০ মিনিট অবস্থান করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনসহ শিক্ষার্থীরা আসলে তারা চলে যান। তবে তারা শিমরাইল মোড়ে এসে সার্ভিস লেনে ১০ মিনিট দাঁড়িয়েছিল।
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ বলেন, সিএনজি চালকরা মহাসড়কে নেমেছিল। তাদের দাবি মহাসড়কে সিএনজি চালাতে দিতে হবে। আমরা বলেছি তাদের এ দাবি যথাযথ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অবহিত করব। পরে তারা এ আশ^াসের ভিত্তিতে চলে গেছেন। তারা প্রায় ২০-২৫ মিনিট মহাসড়কে নেমেছিল। চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাঁদাবাজির কোন অভিযোগ আমাদের কাছে কেউ করেননি। কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।