প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জাইদেরগাঁও এলাকায় সাব্বির হোসেন নামের এক যুবককে ডাকাত আখ্যা দিয়ে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জসিমউদ্দিন ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবক মোগরাপাড়া ইউনিয়নের দমদমা গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে। তবে আওয়ামীলীগ নেতা জসিমউদ্দিনের ছেলে বিল্লাল হোসেনের দাবি তাদের বাড়িতে ৭-৮জনের একটি দল ডাকাতি করতে গেলে স্থানীয়রা ওই ডাকাতকে গণপিটুনি দেয়। পরে সকালে পুলিশের সোপার্দ করে। এক ডাকাত আটক হলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবককে আটক করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তবে ডাকাতির কোন আলমত পাননি বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারী।
স্থানীয়রা জানায়, মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক মো. সাব্বির হোসেন। রাতের বেলায় বাড়ি থেকে বের হয়ে সেখানে যায়। জাইদেরগাঁও গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা জসিমউদ্দিন তার প্রতিপক্ষের লোকজনকে ডাকাত দলের সদস্য হিসেবে তার কাছ থেকে স্বীকারোাক্তি নেয়। এসময় ওই যুবক প্রাণ বাঁচাতে তাদের কথা স্বীকার করে নিজেকে ডাকাত দলের সদস্য পরিচয় দেয়। এসময় পরিকল্পভাবে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের নাম বলতে বাধ্য করে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়- সাব্বির মানসিক রোগী। এর আগে তিনি মোগরাপাড়ার আলাপদী এলাকায় মন্দিরের প্রতিমা ভেঙ্গে জনরোষে পড়েছিল। সাব্বিকে মহাসড়ক থেকে কয়েকজন যুবক তাকে জোড়পূর্বখ ধরে নিয়ে যায়। এরপর তাকে পিটিয়ে আহত করে ডাকাত আখ্যা দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
আওয়ামীলীগ নেতা জসীমউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ছেলে বিল্লাল হোসেন জানান, শনিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাদের বাড়িতে ৭-৮জনের একটি দল ডাকাতি করতে গেলে স্থানীয়রা এক ডাকাতকে গণপিটুনি দেয়। পরে সকালে পুলিশের সোপার্দ করে। এক ডাকাত আটক হলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। তবে একটি পক্ষ এ বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে নিয়ে তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, ডাকাতির অভিযোগে আটক যুবকটিকে মানসিক ভাসম্যহীন। তাকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে মারধর করেছে। তবে ডাকাতির কোন আলামত পাওয়া যায়নি।