শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

|

ফাল্গুন ৮ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

শ্রমিক লীগ নেতার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট ৪ নারী আহত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৮:৪৯, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১৮:৪৯, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শ্রমিক লীগ নেতার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট ৪ নারী আহত

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের শ্রমিক লীগ নেতার বাড়িতে একটি দলের নেতাকর্মীদের হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। 

গত সোমবার রাতে পিরোজপুর ইউনিয়নের আষাঢ়িয়ারচর গ্রামে ঘটনা ঘটে। এসময় ইট পাটকেলের আঘাতে ৪ নারী আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে মনির হোসেন নামের এক নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ। স্থানীয়রা এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। 

জানা যায়, উপজেলার মেঘনা শিল্পাঞ্চল শাখার শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিমের ওপর ৫আগষ্ট সন্ধ্যায় পিরোজপুর ইউনিয়নের নেতা আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে সারোয়ার, মনির হোসেন, রিফাত, সজিব. রুবেলসহ ২০-২৫জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে। এসময় বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। হামলাকারীরা আব্দুল হালিমকে কুপিয়ে জখম করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর সে পরিবারসহ আত্মগোপনে চলে যান। গত সোমবার সন্ধ্যায় আব্দুল হালিমের স্ত্রী বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার খবরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে সারোয়ার, মনির হোসেন, রিফাত, সজিব. রুবেলসহ শতাধিক লোকজন একত্রিত হয়ে হামলা করে। ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। হামলায় মিনারা বেগম, রিয়া আক্তার,মাকসুদা ও মনোয়ারা বেগম আহত হন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এসময় বাড়ির দরজা ও জানালা, আসবাবপত্র ভংচুর করে। এক পর্যায়ে ফ্যান, টিভি, তিনটি সাইকেল ও চেয়ার, টেবিল লুট করে নিয়ে যায়। লুটপাটের সময় ভূক্তভোগী শ্রমিকলীগ নেতা আব্দুল হালিমের স্ত্রী মিনারা আক্তার ৯৯৯ এ ফোন দেন। পরে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মনির হোসেন নামের এক নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে থানা রাতে থানা থেকে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। 

ভূক্তভোগী শ্রমিকলীগ নেতা আব্দুল হালিমের স্ত্রী মিনারা আক্তার বলেন, ৫আগষ্ট সন্ধ্যায় তার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে তার বিভিন্ন স্থানে ভাড়া বাসায় থাকেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় রমজান উপলক্ষে সন্তানসহ বাড়িতে আসার খবরে শতাধিক লোকজন হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করে। আব্দুল জলিল এ হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে। পুলিশ হত্যা চেষ্টা মামলার এজহারভূক্ত একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। 

অভিযুক্ত আব্দুল জলিল বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। হালিমের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী তাদের কর্মীদের গালিগালাজ করায় এ ঘটনা ঘটেছে। 

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, কেউ অভিযোগকারী না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ওই এলাকায় কোন হামলার ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।