ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামীলীগের নৌকার মাঝি সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার। পেশায় ব্যবসায়ী হলেও এবছর বাড়ি, এপার্টমেন্ট, দোকান ভাড়া দিয়েই দিন কাটাচ্ছেন তিনি, ব্যবসায় হয় নি কোন আয়। গত ৩০ নভেম্বর জেলা কমিশনে জমাকৃত মনোনয়নপত্রের সাথে থাকা হলফনামা হতে এমনটাই জানা যায়।
হলফনামায় উল্লেখ করা হয়, এবছর বাড়ি, এপার্টমেন্ট ও দোকান থেকে কায়সারের বাৎসরিক আয় ৩৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৮ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয় বা ব্যাংকে আমানত হিসেবে রয়েছে ৫৮ হাজার ৭৪৫ টাকা। ব্যবসায় আয়ের পরিমাণ খালি রাখা হয়। তার অস্থাবর সম্পদ হিসেবে রয়েছে ২ টি মটর যান, যার মূল্য ৮১ লাখ ৭১ হাজার ৭ টাকা; স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে ২০ তোলা, যার মূল্য ৫২ হাজার টাকা; ব্যবহৃত আসবাবপত্রের মূল্য ৩২ হাজার ৯০০ টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে- পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ১৭৬ শতাংশ কৃষি জমি ও ৮৯.১০ শতাংশ অকৃষি জমি। এছাড়াও রয়েছে ১০.৮৩ শতাংশের জমিতে ৭ তলা দালান যার অর্জনকালীন মূল্য ২ লাখ টাকা। সেই সাথে রয়েছে পূর্বাচলে ১১ কাঠা ৪ ছটাক ৪ বর্গফুটের প্লট যার মূল্য ৪৬ লাখ ৬১ হাজার ৮০০ টাকা।
নারয়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে ১৩ জন জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তারা হলেন সিরাজুল হক (বাংলাদেশ কংগ্রেস) এবং মো. জামিল মিজি (জাকের পার্টি)। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে মনোনয়ন পত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি করা হবে। ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীতা প্রত্যাহার করা যাবে। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে এবং একই দিন হতে নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবে প্রার্থীরা। ৫ জানুয়ারী সকাল ৮ টা পর্যন্ত প্রচারণার সুযোগ থাকবে। সব কিছু ঠিক থাকলে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন।