শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

|

পৌষ ১২ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

ব্যক্তিগত নয় সংগঠনের স্বার্থেই সমালোচনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ব্যক্তিগত নয় সংগঠনের স্বার্থেই সমালোচনা

ফাইল ছবি

ব্যক্তিগত স্বার্থে ১৯-২৭নং ওয়ার্ডে ঘোষিত কমিটি নিয়ে সমালোচনা করছে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের এমন মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা। তিনি সমালোচনার কারন নেতৃত্বে আসা বির্তকিত ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ সহ আনোয়ার হোসেনের প্রতি বেশ কয়েকটি প্রশ্ন রেখেছেন। 

তিনি বলেছেন, নেতাতো ওনারা বানান, আমি হয়তো ওনারা হয়ে বন্দরের ৯টি ওয়ার্ড দেখা শোনা করি। আমার কোন ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই। আমার বাবা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা কালীন সদস্য হওয়ার পাশাপাশি একজন ভাষা সৈনিক ছিলেন। ওই রক্ত আমাদের শরীরে। এতো জুলুম অত্যাচারের পরও আমরা দল ছেড়ে যাইনি। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অটল থেকেছি দলের ব্যাপারে উনার নির্দেশই অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি। 

আনোয়ার ভাই আমাকে নিয়ে প্রশ্ন করেছেন সন্ত্রাসীকে নেতৃত্বে আনা হয়েছে সেটা নিয়ে আলোচনা কেন করিনি। আমি প্রশ্ন রাখতে চাই ওই কমিটিতে নেতা কে বানিয়েছে তাঁকে? অনুমোদন তো আপনারাই দিয়েছেন।

তিনি আরো প্রশ্ন রাখেন বন্দরের ৯টি ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে আমার প্রশ্ন হলো এই কমিটির অনুমোদন কে দিবে মহানগর নাকি থানা কমিটি? গঠনতন্ত্র মোতাবেক বন্দর থানা কমিটি বন্দরের ওয়ার্ড কমিটির অনুমোদন দিবে। মহানগর থানা কমিটি গঠন করে দিবে। এখানে কি সেটা মানা হয়েছে?

ফেসবুকে লিখে তিনি কাকে রাজাকারের সন্তান এবং কাকে মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারীর সন্তান বুঝিয়েছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে হুমায়ন কবির মৃধা বলেন, ১৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি জসিম উদ্দিন জসু রাজাকারের ছেলে। তার বাবা এসহাক রাজাকার। ২৭নং ওয়ার্ডের সেক্রেটারী করা হয়েছে অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদকে। তার বাবা আলাউদ্দিন মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী। মামুন কখনো আওয়ামী লীগ করেছে আমি কখনো শুনিও নাই ওই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলামের মত নেতাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আবার জসিম উদ্দিন জসু আওয়ামী লীগের কেউ না। এস এম আকরাম সাহেব এমপি থাকা কালীন সে আকরাম সাহেবের লোক ছিল শেষ সময়ে। সে কোন দল করতো না। কারো ব্যক্তিগত লোককে তো দলীয় লোক বলা যায়না। জসিম উদ্দিন জসু কখনোই আওয়ামী লীগ করেনি।

আনোয়ার ভাইয়ে কথাটা সত্য যে সবাই তো আর সমান সংখ্যক লোক নিয়ে আসতে পারেনা। কিন্তু আনতে পারবেও না। আমাদের ২৩নং ওয়ার্ডের কথাই ধরি, এখানে কমলকে সভাপতি দেওয়া হয়েছে, সাথে মশিউর রহমান সুজু কে সাধারণ সম্পাদক দেওয়া হয়েছে। কমল যে সংখ্যক লোক সংগঠিত করতে পারবে সুজু সেটা ষোল ভাগের এক ভাগও পারবেনা। ২৩নং ওয়ার্ডটি হলো সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম সাহেবের। এখানে রাজনীতি করা কিন্তু চ্যালেঞ্জিং, যদি কোন কারনে কমল কোন রাজনৈতিক মামলার আসামী হয় জেলে যায় বা আত্মগোপনে থাকে তখন কি সুজু তেমন ভাবে এই ওয়ার্ডে সবাইকে সংগঠিত রাখতে পারবে? তাই কে কত লোক আনতে পারলো সেটা সেই ক্ষমতার থেকেও সাংগঠনিক দক্ষতাকেও প্রাধান্য দিতে হবে। বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ সাংগঠনিক দক্ষতা রয়েছে কিন্তু তাকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। আমার অভিযোগ ব্যক্তিস্বার্থে নয় দলের স্বার্থে। যে সব ওয়ার্ডে দক্ষদের রেখে অদক্ষদের নেতৃত্বে আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এখানে পছন্দ অপছন্দের বিষয় না। নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটিতে আমাদের এমপি শামীম ওসমান সদস্য আমার জানা মতে ওনি এই একটি কমিটিতেই সদস্য হিসেবে রয়েছে অন্য কোন কমিটিতে তিনি নেই। যে কমিটিতে ওনার মত সাংগঠনিক নেতা ১নং সদস্য সেই কমিটির মাধ্যমে এমন অদক্ষদের মূল্যায়িত হওয়া হতাশাজনক, আমরা এসব বিষয় গুলোতে এমপি শামীম ওসমানের দৃষ্টি আকর্ষন করে সমস্যা গুলো সমাধানের দাবী রাখছি।