মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

|

ভাদ্র ৩১ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

সপরিবারে মাঠে খোরশেদ, ছেলেসহ মামলার আসামী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৮:২১, ১০ আগস্ট ২০২৪

সপরিবারে মাঠে খোরশেদ, ছেলেসহ মামলার আসামী

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে পরবর্তীতে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থান ও অভ্যুত্থান পরবর্তী অরাজক পরিস্থিতি সামাল দিতে সপরিবারে কাজ করে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। 

আন্দোলনের শুরু থেকেই মাঠে ছিলেন খোরশেদের ছেলে নকিব খন্দকার ও দুই মেয়ে নাবিলা ও খুশি। ছেলে মেয়ের পাশাপাশি রাজপথে থাকা শিক্ষার্থীদের খাবার পানি সরবরাহ করে সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন খোরশেদ পত্নী আফরোজা খন্দকার লুনা।

গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। সরকার পতনের পর উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো নারায়ণগঞ্জ। দলে দলে মিছিল নিয়ে আসতে থাকে সাধারণ মানুষ। এরই মধ্যে পরিবারের সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়া হল মুক্ত করেন মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। শহীদ জিয়া হলে অবস্থিত জিয়াউর রহমানের ভেঙে ফেলা ম্যুরালটির জায়গায় প্রতীকী ম্যুরাল প্রতিস্থাপন করেন খোরশেদ। 

বিজয় উল্লাস শেষে রাত নামতেই নারায়ণগঞ্জ শহরজুড়ে শুরু হয় লুটপাট আতংক। পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকায় এসময় খোরশেদ নিজ বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে এগিয়ে আসেন। লুটপাট ও ডাকাতি বন্ধে জনসচেতনতা তৈরি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৫ আগষ্ট রাত থেকেই কাজ শুরু করেন খোরশেদ।

নারায়ণগঞ্জে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাঁচ আগষ্ট রাত থেকেই শহরের মন্দির ও গীর্জাগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে পাহাড়া বসান খোরশেদ। এসময় নিজে ঘুরে ঘুরে শহরের মন্দিরগুলো পরিদর্শন করেন তিনি। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের আবাসস্থল, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয় সুরক্ষিত রাখার আশ্বাস দেন খোরশেদ।

এদিকে পুলিশ মাঠে না থাকায় দেশের আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যাবস্থা ভেঙে পড়েছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শহরের চাষাঢ়া এলাকায় খোরশেদের মেয়ে নাবিলা বিগত তিন দিন যাবৎ যানজট নিয়ন্ত্রণ ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নিরলস ভাবে কাজ করছে।

এদিকে গণ অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত খোরশেদ পত্নী লুনা ও স্বেচ্ছাসেবকদের পক্ষ থেকে রাজপথে পরিচ্ছন্নতা ও যানজট নিরসনে কাজ করতে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্যা খাবার, পানি ও আনুষাঙ্গিক বিভিন্ন বস্তু নিয়ে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।