ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মিনারুল ইসলাম (২৯) নামের এক যুবক নিহতের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি শামীম ওসমান ও সাবেক সিটি মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ৪৩০ জনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলকেও।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) নিহতের ভাই মোঃ নাজমুল হক (৩৬) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এছাড়াও মামলায় সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (৭২), নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি কায়সার হাসানাত, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপত মোঃ মজিবর রহমান, অয়ন ওসমান, আতাউর রহমান মুকুলসহ ১৩০ জন আসামীর নাম উল্লেখ করা হয়।
এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরও ৩০০ জনকে আসামী করা হয়।
মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আওয়ামীলীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সন্ত্রাসীরা ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করার উদ্দ্যেশ্যে বন্দুক, সর্টগান, পিস্তল, তলোয়ার, রামদা, চাপাতি সহ অত্যাধুনিক দেশী ও বিদেশী অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আদমজী রোডস্থ আল আমিন নগর পাওয়ার হাউজের সম্মুখে ছাত্র জনতার উপর মহামলা চালায়। এসময় আসামীরা তাদের সাথে থাকা আগ্নোয়াস্ত্র দিয়ে চারদিকে গুলি ছুড়তে থাকে। তখন তার ভাই মিনারুল ইসলাম সন্ধ্যার সময় মুজিব ফ্যাশনের সামনে আসলে শামীম ওসমান তার হাতে থাকা আগ্নোয়াস্ত্র দিয়ে তার ভাইকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে সে গুলি তার ভাইয়ের বাম দিকের কিডনির নিচে গুলিবিদ্ধ হয়।
পরবর্তীতে তার ভাইকে তার সাথে থাকা মোঃ সাইদুল ইসলাম, কাওসার ও ডালিম মোল্লা অটোতে করে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক।