ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকায় ধারাবাহিক মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। স্বৈরাচার পতন দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফল। এদেশের জনগণই ঠিক করবে আগামীতে কারা দেশ পরিচালনা করবে।
তারেক রহমানের বক্তব্যের আগে বিএনপির তিন কেন্দ্রীয় নেতা মঈন খান, মির্জা আব্বাস এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বক্তব্য রাখেন। এরপর তারেক রহমান নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখা শুরু করেন। এসময় প্রায় ১ ঘণ্টা তিনি বক্তব্য রাখেন। এদিকে তারেক রহমানের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছিল। এদিন নেতাকর্মীরা মনোযোগসহকারে তারেক রহমানের প্রতিটি কথা শোনেন।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে তারেক রহমান বলেন, গত দেড় যুগ ক্ষমতায় না থেকেও বিএনপি এদেশে যতটা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে তা আমাদের ধরে রাখতে হবে। পাশাপাশি আমাদের উপর দেশের মানুষের যে আস্থা সৃষ্টি হয়েছে তা বিপদগামী বিএনপির নেতাকর্মীদের দ্বারা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনার দলের ভাবমূর্তি নষ্টকারীদের চিহ্নিত করুন, তাদের প্রতিহত করুন। দল শুধু তাদের বহিষ্কারই নয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে। তৃণমূলই বিএনপির মূল শক্তি। তারা শত প্রলোভন আর নির্যাতন উপেক্ষা করে দলকে আগলে রেখেছে। তাই এই মুহূর্তে তাদেরকে অবজ্ঞা করলে চলবে না। সামনে এখনো আমাদের অনেক কঠিন পথ বাকি। এখনই এতো খুশি হলে চলবে না। আমাদের এমন কোনো কাজ করা যাবে না যে কারণে জনগণের কাছে আমাদের সম্মান ও জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। আমাদের এখন আরও বেশি দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করতে হবে। ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে প্রতিপক্ষের উপর কোনোরকম চাপ সৃষ্টি করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আজ থেকে প্রায় দুই বছর আগে দেশের সাংবিধানিক কাঠামো আর জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছিল, যেটা সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য এখনও উন্মুক্ত।