মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

|

ভাদ্র ৩১ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

ওরা পিস্তলের ভয় দেখিয়ে কুমুদ্দিনী উচ্ছেদ করেছে : খোরশেদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২৩:৪২, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১০:১৯, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ওরা পিস্তলের ভয় দেখিয়ে কুমুদ্দিনী উচ্ছেদ করেছে : খোরশেদ

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা ও কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেছেন, আমি যখন মামলায় নারায়ণগঞ্জের বাইরে ছিলাম। সে-সময় এই দুই এমপি, বিশেষত সেলিম ওসমান নিজে উপস্থিত থেকে এই লোক গুলোকে উচ্ছেদ করেন। তিনি সেসময় প্রতিটি পরিবারকে সাড়ে তিন হাজার টাকা করে দিতে চেয়েছে। বাড়ির মালপত্র সরাতেও এরচেয়ে বেশি টাকা লাগে।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঐতিহ্যবাহী কুমুদিনী উত্তর ও দক্ষিণ বাগানবাসীকে পুনর্বাসন করার ও ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। 

তিনি আরও বলেন, তারা পিস্তলের ভয় দেখিয়ে লোকজনকে উচ্ছেদ করেছে। আমি সকলকে বলতে চাই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যে কয়টি নির্মম ঘটনা ঘটেছে এর মধ্যে কুমুদীনির ঘটনা একটি। দুই দিনে পাঁচ হাজার লোককে তারা উচ্ছেদ করেছে।

তিনি বলেন, আমরা বিশৃঙ্খলা করবো না। বিশৃঙ্খলা হলে ওরা আবারও সুযোগ পাবে। ওরা জানত আমাকে না সরিয়ে এটা ওরা করতে পারবে না। আপনারা জানেন আমি কীভাবে আপনাদের পাশে ছিলাম। আপনারা বিশৃঙ্খলা করলে ওরা আবার মামলা দিবে, আপনারা নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়বেন।

ছাত্ররা রক্ত দিয়ে প্রমাণ করেছে রাজপথ কখনও ফিরিয়ে দেয় না। আমরা যদি কোন প্রলোভনে না পড়ি তাহলে আমাদের বিজয় নিশ্চিত। অনেকে এ আন্দোলন নস্যাৎ করতে চেষ্টা করবে। যারা ভাঙচুর করতে চাইবে তারা কিন্তু বন্ধু হতে পারে না, এটা মাথায় রাখতে হবে।

তিনি বলেন, এই উচ্ছেদে শেখ হাসিনার মদদ ছিল। শেখ হাসিনা সেই অনুষ্ঠানে বারবার বলেছে রাজীবের বাসায় গিয়েছি খেয়েছি। এগুলো বলে তিনি বুঝাতে চেয়েছেন রাজীবের হাত কত লম্বা ছিল। এই জায়গা হাসপাতালের নামে দখল করে গুদাম ভাড়া দিচ্ছে। এর থেকে কী বোঝা যায়।