ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল ও মহানগর বিএনপি নেতা আবুল কাউসার আশা কুপিয়ে ও পিটিয়ে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে হত্যার চেষ্টা করেছিল বলে দাবী করেছেন টিপু।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন টিপু।
এসময় টিপু জানান, শুধু প্রতিহিংসার কারণে আমাকে বহিস্কৃত মুকুল ও পদত্যাগকারী কাওসার আশা আমাকে হত্যা করতে চায়। আমি বন্দর উপজেলা ও বন্দর থানা বিএনপি'র উদ্দ্যেগে দখল, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদ সমাবেশে গতকাল ৬ই সেপ্টেম্বর-২৪ইং দুপুর ৩.৩০ মিনিটে কাওসার ও মুকুলের নেতৃত্বে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ওসমান পরিবারের সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাকে বহনকারী অটোরিক্সা উপর হামলা করে এলোপাতারি চাপাতি, রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করতে চায়। কাওসার আমাকে চাপাতি দিয়ে মাথার ঘাড়ে কোপ দেয়, আমার ঘাড়ে কোপ লাগে, আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রাখে, তারপর ঘাড়ে কোপের কারনে ৪ টি সেলাই লাগে, মুকুল হকিষ্টিক দিয়ে আঘাত করে বাম হাত ভেঙ্গে ফেলে এবং শরীরে বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখম করে। আমি বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসাধীন।
টিপু জানান, কাওসার ও মুকুল গত ১৫ বছর বিএনপি'র কোন মিছিল করে নাই ও কোন মামলর আসামী হয় নাই। তারা দু'জন খুনী শামীম ওসমান ও খুনী সেলিম ওসমানের দালালি করেছে এবং তাদের দালালী করে বিএনপিরর নেতাকর্মীদের মামলার তালিকা তৈরী করে দিয়েছে। গত ৭ই জানুয়ারী -২৪ইং আ'লীগের পাতানো নির্বাচনে কাওসার ও মুকুল গংরা আ'লীগ ও জাতীয়পার্টির প্রার্থী পক্ষ নির্বাচন করে,তার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ থাকায় মুকুলকে দল থেকে বহিস্কার করে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড।কাওসার ও মুকুল সবসময় বিগত আ'লীগ ও জাতীয় পার্টির এমপিদের খুশী রাখার জন্য দলকে বিভক্ত ও দূর্বল করার বিভিন্ন কৌশল চালিয়েছে। গত ৫ই আগষ্ট-২৪ইং আ'লীগ সরকারের পতনের পর কাওসার ও মুকুল বন্দর থানায় ও উপজেলায় এলাকায় দলের নাম বিক্রি করে দখল, চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য করে এবং আমাদের দলের যুবদলের নেতা স্বজন গত ৫ই আগষ্ট-২৪ ইং কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শহীদ হয় এবং এই হত্যার বাদীকে খুনী ওসমানের পরিবারের পক্ষ হয়ে কাওসার ও মুকুল গংরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ও এখনো অব্যাহত। তাছাড়া গত ৭/৮ বছর কথিত সৌরভ যেখানে আ'লীগ ও জাতীয়পার্টির খান মাসুদ ও দুলাল প্রধানে সন্ত্রাসী বাহিনীর একান্ত সহযোগী ছিল ও বর্তমানে তার নামে হত্যা মামলা হয়। বর্তমান কাওসার ও মুকুল গংরা কথিত সৌরভকে হত্যা মামলা থেকে রক্ষা করার জন্য তাকে দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করাচ্ছে এবং কথিত সৌরভকে বিএনপি বানাতে চাচ্ছে। গত ১৫ বছর কাওসার ও মুকুল গংরা আ'লীগ ও জাতীয়পার্টির খুনী শামীম ওসমান ও শামীম ওসমান পরিবারের দালালী করেছে,যা নাঃগঞ্জের স্হানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এবং নাঃগঞ্জ বাসী ও বন্দরবাসী ও দলের নেতাকর্মীরা সবই জানে। আর কাওসার ও মুকুল গংদের এই সকল অপকর্ম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ করি এবং আর ওরা বুঝতে পারছে তাদের রাজনীতি শেষ হয়ে যাচ্ছে ও আগামী দিনে জাতীয় নির্বাচনে দল থেকে তারা মনোয়ন পাবে না এবং আমি তাদের রাজনীতির জন্য হুমকি স্বরুপ, তাই তারা গোপনে ওসমান পরিবারের সাথে আতাত করে কাওসার ও মুকুল গংরা আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং তারই ধারাবাহিকতায় গত ৬ই সেপ্টেম্বর -২৪ইং আমি দলীয় প্রোগামে যাওয়ার সময় আমাকে হত্যার জন্য কাওসার ও মুকুল গংরা আমার ও আমার সফর সঙ্গীদের উপর সশস্র অবস্হায় আমাকে হত্যার জন্য চাপাতি, রামদা ও হকিষ্টিক দিয়ে হামলা করে আমাকে রক্তাক্ত জখম করে ও আমাকে হত্যার জন্য কাওসার চাপাতি দিয়ে আমার ঘাড়ে কোপ মেরে মাথা বিচ্ছিন্ন করতে চায় কিন্তুু আল্লাহ'র রহমতে আমি বেঁচে যাই। তারপরও আমার ঘাড়ে ৪টি সেলাই পড়ে ও মুকুলের হকিষ্টিকের আঘাত আমার বাম হাত ভেঙ্গে যায় আমি এখন মূমূর্ষ অবস্হায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তিনি আরও জানান, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন আমি তাড়াতাড়ি সুস্হ্য হয়ে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারি। বর্তমানে খুনী কাওসার ও খুনী কানা মুকুল গংরা আমাকে হত্যার চেষ্ঠার ঘটনাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র দিয়ে ধামাচাপা দিতে চায়।