রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

|

পৌষ ৭ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

বিএনপি অফিস ভাংচুর, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:৩২, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিএনপি অফিস ভাংচুর, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন 

চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ৭ নং ওয়ার্ডে বিএনপি অফিস ভাংচুর ও বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বিএনপি নেতাকর্মী ও ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। 

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। 

এসময় মানববন্ধনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য শামীম ঢালী বলেন, আমাদের ৭ নং ওয়ার্ডের গলাকাটা কাশিমের ছেলে সাগর মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি। সে এমন কোন জায়গা নেই যেখান থেকে চাঁদাবাজি করেনি। সে কদমতলী এলাকার প্রতিটি দোকান থেকে ২০০/৩০০ টাকা করে চাঁদা উঠায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দোকানে চাঁদা তোলে, ময়লার গাড়ি থেকেও সে চাঁদা দাবী করেছে।

তিনি বলেন, ৭ নং ওয়ার্ডের পাশেই আদমজী ইপিজেড। আপনারা খোঁজ নিলে জানতা পারবেন। সেখানে সে হুমকি ধমকি দিয়ে ঝুট বের করছে। যুবলীগের মতি, পানি আক্তারের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সে এসকল ব্যাবসা করছে। আমরা বাঁধা দেয়ায় সেখানে তারা বিএনপির অফিস ভাংচুর করেছে। আমাদের দলের নেতাদের উপর তারা হামলা চালিয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, এত রক্তের বিনিময়ে এ দেশ চাঁদাবাজদের কাছে জিম্মি হওয়ার জন্য স্বাধীন হয়নি। আমরা এই সাগরের কাছ থেকে মুক্তি চাই। এই সন্ত্রাসীদের কোন ভাবেই বাড়তে দেয়া যাবে না। আমরা আমাদের এলাকায় আরেকটা মতি দেখতে চাই না। 

এর আগে গত রোববার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর চালায় সন্ত্রাসীরা। এসময় হামলায় প্রায় ১৫ জন আহত হন।

এঘটনায় মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগরকে দোষারোপ করেন স্থানীয়রা। সাগরের খালাতো ভাই সোহেল, যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান মতির কর্মী পানি আক্তার, ভাগিনা মামুনসহ শতাধিক হামলাকারী বিএনপি কার্যালয়ে এই হামলা ও ভাংচুর চালায় বলে জানান তারা। 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, শামীম ডালির নেতৃত্বে বিএনপির কিছু লোকজন আওয়ামী লীগের লোকদের সঙ্গে আঁতাত করে সরকারি খাল দখল ও চাঁদাবাজির বিষয়টি জানতে পেরে আমি তাদের নিষেধ করি। কিন্তু তারা আমার কথা কর্ণপাত করেন নি। তাই রোববার রাত ৯ টার দিকে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীকে পাঠাই দোকানদারদের নিষেধ করতে তারা যেন চাঁদা না দেয়। চাঁদা দিতে নিষেধ কারায় শামীম ডালির সহযোগী আকাশ, হাসান বাবু, মেহেদী হাসান, সোহেল ও আল-আমিনসহ ২০-২৫ জন মিলে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় কাউসার, মিরাজুল ও রেজাউল আহত হয়। পরে তারা লাঠিসোটা নিয়ে এলাকায় বিক্ষোভ আর নিজেদের দলীয় অফিস ভাঙচুর করে আমাদের উপর দোষ চাপানোর ফন্দি করে। এ খবর পেয়ে আমরা ছাত্র জনতা মিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে চাঁদাবাজদের ধাওয়া দেই। ফুটপাত ব্যবসায়ীদের চাঁদা দিতে নিষেধ করি। সবাইকে সতর্ক করি দখল চাঁদাবাজি করে যেই দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করবে আমরা ছাত্র-জনতা কঠোরভাবে তা প্রতিহত করবো।