বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

|

আশ্বিন ৩ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

বলতো নেত্রী নির্দেশ দিলে এটা ওটা করে ফেলবে, নির্দেশ দেয়ার সময়ও পায়নি : মাসুদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৫:৩৩, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১০:১৪, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বলতো নেত্রী নির্দেশ দিলে এটা ওটা করে ফেলবে, নির্দেশ দেয়ার সময়ও পায়নি : মাসুদ

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, একটি সরকারে জামায়াতের তিনজন মন্ত্রী মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছিল। সেই সময়কার তথ্য এখনও টিআইবির কাছে আছে, সংসদে আছে, সাংবাদিকসহ সবার কাছে আছে। তারা হলেন জামায়াতের আমীর ও সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ। তারা বলেছিলেন আমরা দুই টাকার দুর্নীতি করেছি প্রমাণ করতে পারলে শুধু এমপি বা মন্ত্রী পদ থেকে নয়, জামায়াতের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করবো। আজ পর্যন্ত তারা এগুলো প্রমাণ করতে পারেনি।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের শিল্পকলা একাডেমিতে জায়ামাতে ইসলামীর কর্মীসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জবাসীকে গত সাড়ে ১৫ বছর তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত করে রেখেছিল। তারা বলেছিল কোন কিছুর দরকার হবে না, শুধু নারায়ণগঞ্জই যথেষ্ট। শুধু বলেছিল নেত্রী নির্দেশ দিলে এটা ওটা করে ফেলবো। আজ বলতে চাই আপনার নেত্রী এমন অপকর্ম করেছেন সেই নির্দেশ টুকু দেয়ার সময় পেলেন না। আপনারা কার পেছনে ঘুরেছেন। 

তিনি বলেন, আপনারা এমন নেত্রীর পেছনে ঘুরেছেন যারা ৫ আগষ্ট দেশত্যাগ করে জানিয়ে দিল শুধু দল নয় ওই দেশের প্রতি তাদের কোন দায়িত্ব নেই। আমরা ধিক্কার জানাই, যারা প্রাচীন দল বলে নিজেকে পরিচয় দেন। এ দেশের মানুষকে নিয়ে যে দায়িত্বহীন বক্তব্য দিয়েছেন এর ফলে শুধু গণহত্যা হয়নি, আপনারা এ দেশে আর রাজনীতি করতে পারবেন না। দেশের প্রতি আপনাদের দায়িত্ব যেহেতু নেই, আপনারা নৈতিকভাবে আর রাজনীতি করতে পারবেন না। 

ড. মাসুদ বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের আগ পর্যন্ত তারা পহেলা আগষ্ট বলেনি, দোসরা আগষ্ট বলেনি। তারা বলেছিল ৩২ জুলাই ৩৩ জুলাই। এ আন্দোলন যখন দমন করা যাচ্ছিল না তখন ট্রাম্প কার্ড হিসেবে তারা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধের ঘোষণা দিল। 

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা গত সাড়ে ১৫ বছর আমাদের কোন উপকার করতে পারেননি। তবে ১ আগষ্ট আমাদের আপনি উপকার করে দিয়ে গেছেন। মানুষ বুঝতে পারল জামায়াত ও শিবিরকে ঘোষণার মধ্য দিয়ে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে বলে আপনি জামায়াত ও শিবিরকে জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়ে গেলেন। আপনি আদর্শিক দিক থেকে পরাজিত হয়েছেন, নৈতিক ভাবেও পরাজিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, এই সংস্কার এ দেশের ছাত্র জনতা চায়। এই সুন্দর রাষ্ট্র গড়তে সততা দরকার, দেশপ্রেম দরকার, দক্ষতা দরকার। অন্য দলগুলোকে এটা প্রমাণ করতে হবে, আর জামায়াতে ইসলামী তা ইতোমধ্যে জনগণের কাছে প্রমাণ করেছে।