শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

|

পৌষ ৬ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

হার না মানা এক রাজপথের যোদ্ধা যুবদল নেতা আবু মাসুম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২৩:১৪, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হার না মানা এক রাজপথের যোদ্ধা যুবদল নেতা আবু মাসুম

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নারায়গঞ্জে সক্রিয় ছিলেন যুবদল নেতা আবু মোহাম্মদ মাসুম। বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় এই নেতাকে হামলা, মামলার শিকার হতে হয়েছে বহুবার। তবুও দমে যাননি, রাজপথে মাসুমের নেতৃত্বে ছাত্রদল যুবদল ছিল সরকার বিরোধী আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকায়।

ছাত্রদলের রাজনীতি দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন মাসুম। জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন এই নেতা। সেসময় জেলাজুড়ে, বিশেষত রূপগঞ্জে বিশাল কর্মী বাহিনী গড়ে তোলেন তিনি।

বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থাকায় রূপগঞ্জের তৎকালীন মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর রোষানলে পড়েন মাসুম। শুধু মাসুমই নয়, তার অনুসারী কর্মীদের ওপর হয়েছে ব্যাপক নির্যাতন। তবুও নেতাকর্মীদের আগলে রেখে তাদের পরিবারের পাশে ছায়া হয়ে ছিলেন মাসুম।

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরে বিএনপির সমাবেশে হামলার পর দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপি নিধনে নামে। পুলিশের পাশাপাশি বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে চড়াও হয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও।

এদিকে ২৮ অক্টোবরের পর রূপগঞ্জ জুড়ে মাসুমের নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। এঘটনার জেরে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর মাসুমের বাড়িতে হামলা চালায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় বাড়ির গেট ভেঙে প্রবেশ করে ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালান তারা। মাসুমের পরিবার জানায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজের নেতৃত্বে অন্তত ৫০ জনের একটি দল এই হামলা চালায়।

সেসময়কার প্রকাশিত বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, মাসুমের বাড়ির গেটে হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা দিয়ে ব্যাপক আঘাত করছে। লাঠিসোঁটা নিয়ে গেট ভেঙে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করছে হামলাকারীরা। তবে ঘটনার সময় মাসুম বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না। হামলাকারীরা ঘরে ঢুকে প্রতিটি কক্ষ ভাঙচুর করে। ঘরের ভেতরে থাকা টিভি, ফ্রিজ, এসি ভেঙে ফেলা হয়। বাদ যায়নি টয়লেটের কমোডও। এ ছাড়া আলমারিতে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় তারা।

এ বিষয়ে সেসময় আবু মাসুম জানান, গত দুই দিন অবরোধের সমর্থনে আমি রূপগঞ্জে বেশ কিছু কর্মসূচি পালন করেছি। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির নেতৃত্বে অর্ধশত নেতা-কর্মী আমার বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ির গেট ভেঙে দোতালা বাড়ির পুরো অংশে তাণ্ডব চালিয়েছে।

এসকল হামলার পরেও মাসুম দমে যাননি। হরতাল অবরোধের সমর্থনে রূপগঞ্জে আন্দোলন সংগঠিত করতে থাকেন। পরবর্তীতে ১৮ নভেম্বর মাসুমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দীর্ঘ ৭৩ দিন কারাভোগ করে ২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারি মুক্তি পান মাসুম।

এত অত্যাচারের পরেও জেল থেকে বের হয়েই পুনরায় দলকে সংগঠিত করতে কাজ শুরু করেন মাসুম। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে মাসুমের নেতৃত্বে রূপগঞ্জে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।