ফাইল ছবি
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিকেএমইএ'র সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির বলেছেন, এতদিন স্বাধীনতা একটি মহলের জন্য ছিল। আমাদের সবার জন্য স্বাধীনতা ছিল না। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র ছাত্রীরা জীবন দিয়ে আমাদের এই স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছে। আজ এ স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে না পারলে এই শিল্পও থাকবে না, আমিও থাকবো না। আজ এ পরিবর্তনকে ধরে রেখে এগিয়ে না গেলে এর কোন মূল্য থাকবে না।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া বিকেএমইএ'র ভবনে বিকেএমইএ কর্মকর্তাদের সাথে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি স্বাধীমতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। তবে আজ একজন মালিক হিসেবে আপনাদের সামনে কথা বলতে এসেছি। দেশ স্বাধীন না হলে কী আমরা আজ মালিক হিসেবে এত সুন্দর গাড়ি নিয়ে আসতে পারতাম, পারতাম না। কিন্তু আমরা মানুষকে প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ দিতে পারিনি। স্বাধীনতা ছিল কুক্ষিগত।
শিল্প শুধুই শিল্প। হাতেম বয়সে আমার অনেক ছোট। কিন্তু মানুষের জন্য কাজ করা তার স্বভাব। ২০০৩ সালে আমি তখন বিজিএমইএ'র ভাইস প্রেসিডেন্ট, হাতেম আমাকে ফোন করে বলল মনির ভাই একটা বিপদ আপনাকে এখানে আসতে হবে। সে বলল উইজডম ফ্যাক্টরি যেটা সেলিম ওসমানের, যিনি বিকেএমইএর সভাপতি ছিলেন। তার ফ্যাক্টরিতে হামলা হচ্ছে, অগ্নিসংযোগ হবে। আমি ডিসি ও এসপি সাহেবকে জানিয়ে এখানে আসি। আমরা দেখলাম ফ্যাক্টরিতে তারা আগুন দিতে যাচ্ছে, পাশেই গরুর খামার। সেখান থেকে তারা গরু জবাই করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি বললাম কোন ভাবেই এই ফ্যাক্টরিতে ভাংচুর ও আগুন দেয়া যাবে না। ওরা বলল এখানে অবৈধ জায়গা আছে আমরা ফেরত নেব। আমি বললাম জায়গা অবশ্যই ফেরত নিবে তবে ফ্যাক্টরিতে আগুন দেয়া যাবে না। ওরা আমার কথা শুনেছিল, আজও সেই ফ্যাক্টরি আছে।
শিল্পের প্রতি আমার ভালবাসা ছিল। আমাদের সমস্যা আছে, আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। জেলা প্রশাসকসহ সকলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করছে। আমরাও পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা করছি।
তিনি আরো বলেন, আমার শ্রমিকের বেতন যথা সময়ে দেয়া আমাদের দায়িত্ব। আজ আমার শ্রমিকরা বেতন যথা সময়ে বেতন পাবে, বেতন দিতে হবে। আমার কারখানায় অর্ডার ও শ্রমিক সব আছে। কিন্তু উৎপাদন হচ্ছে না। কারণ গ্যাস ও বিদ্যুৎ নেই। আমি বলব আপনারা শ্রমিকদের কথা বলবেন, পাশাপাশি কারখানা সচল রাখার জন্যেও আপনাদের কথা বলতে হবে।
এসময় বিকেএমইএ'র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ তরিকুল আলম, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, সেনাবাহিনীর নারায়ণগঞ্জ জেলার কমান্ডিং অফিসার লে.কর্ণেল আতিক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিকেএমইএ'র সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, বিজিএমইএ'র সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুজ্জামান প্রমুখ।
