ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে বন্ধন পরিববহন নিয়ে বিএনপি দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে শ্রমিক ইউনিয়নের দুই নেতা সহ ৮ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর নারায়ণগঞ্জ শহরের দুই নং রেলগেট এলাকায় অবস্থিত বাস স্ট্যান্ডে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রোববার সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সিটি বন্ধন পরিবহনের নিয়ন্ত্রণ নিতে সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য মাহবুব উল্লাহ তপন মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদল ও বিএনপি ওয়ার্ড ভিত্তিক নেতাকর্মীদপর নিয়ে শো-ডাউন শুরু করেন। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া বেশকিছু শিক্ষার্থীরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে তপন গ্রুপের শোডাউনের খবরে দুপুর ২টায় মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়ার নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মীরা ঝটিকা মিছিল নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে প্রবেশ করে। এসময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পরিবহনের কাউন্টারে থাকা বাস মালিক রুহুল আমিন আহত হন।
এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন পরিবহন কার্যালয়ে ভাংচুর চালিয়ে নেতাদের মারধর ও বন্ধন পরিবহনের কাউন্টার ভাংচুর চালায় হামলাকারীরা।
এদিকে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের মারধর ও অফিস ভাংচুরের প্রতিবাদে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে পরিবহন শ্রমিকরা।
এসময় হামলায় আহত নারায়ণগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন জানান, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়ায় সিটি বন্ধন পরিবহনের স্থলে বন্ধন পরিবহন নিয়ন্ত্রণে নেয়। এটা বন্ধন পরিবহনের দুই পক্ষে বিষয়, কিন্তু হঠাৎ শ্রমিকদের অফিসে হামলা ভাংচুর চালায় দুই পক্ষ লোকজন। এতে সড়ক পরিবহন নেতা দেলোয়ার হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম রক্তাক্ত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, সিটি বন্ধন পরিবহনের নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন লিটন ও এমডি দেলোয়ার হোসেন। অন্যদিকে বিলুপ্ত বন্ধন পরিবহনের চেয়ারম্যান হিসেবে মাহবুব উল্লাহ তপন রয়েছেন।
জানা যায়, আওয়ামীলীগ সরকার আমলে বন্ধন পরিবহন নাম পরিবর্তন করে সিটি বন্ধন পরিবহনের নামে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের চলাচল শুরু করে। এর আগে ক্রসফায়ারে নিহত যুবদল নেতা মমিনউল্লাহ ডেভিডের ভাই ও মহানগর বিএনপি সদস্য মাহবুব উল্লাহ তাপস বন্ধন পরিবহনের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন বন্ধন পরিবহন বিলুপ্ত করে সিটি বন্ধন পরিবহনের চেয়ারম্যান হন। পরবর্তীতে পরিবহনের এমডি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আইয়ূব আলী নিয়ন্ত্রণে বাস চলাচল করে। ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকেই বিএনপির দুই গ্রুপ পরিবহনটি দখলের চেষ্টা চালাতে থাকে।