শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

|

পৌষ ৬ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

রূপগঞ্জ ছাত্রদল নেতা জাহিদুলকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায়, আসামীরা ধরাছোয়ার বাইরে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৬:৪০, ৮ অক্টোবর ২০২৪

রূপগঞ্জ ছাত্রদল নেতা জাহিদুলকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায়, আসামীরা ধরাছোয়ার বাইরে

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক জাহিদুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা মামলায় আসামীরা ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে। নিহত জাহিদুল ইসলামের পরিবারের অভিযোগ, আসামীরা প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ গ্রেফতার করছেনা। এর আগে, গত ৫ আগষ্ট সন্ধ্যায় রূপগঞ্জের সোনাবো এলাকা থেকে ডেকে নিয়ে সোনারগাঁয়ের পাকুন্দা এলাকায় রাত ১০টার দিকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। হত্যাকান্ডের ঘটনায় জাহিদুল ইসলামের মা পুষ্প আক্তার বাদী হয়ে ২৪ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত ৫/৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে, হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে স্থানীয় এলাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচী অব্যাহত রেখেছেন।

নিহত ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলামের মামা নুর মোহাম্মদ জানান, বাগিনা জাহিদুল ইসলাম তার মা পুষ্প আক্তারকে নিয়ে রূপগঞ্জ উপজেলার সোনাব এলাকায় নুর মোহাম্মদদের বাড়িতেই বসবাস করে আসছেন। জাহিদুল ইসলাম রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক হিসেবে রাজনিতী করতেন।  বিগত স্বৈরাচারি সরকারের আমলে ডজন খানেকেরও বেশি রাজনৈতিক মামলায় জেল খেটেছেন।

সোনাব এলাকার বাড়ির জমি নিয়ে একই এলাকার জাকির হোসেন, নাজমুল হোসেন, রাসেল, আবু বক্করদের সঙ্গে নুর মোহাম্মদদের বিরোধ রয়েছে। ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলাও চলমান। জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ করায় একাধীকবার প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা জাহিদুল ইসলামকে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। গত ৫ আগষ্ট দেশের রাজনৈতিক বিশৃংখলার পরিস্থিতির সুযোগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সোনাব এলাকা থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে পার্শবর্তী সোনারগাঁও উপজেলার পাকুন্দা এলাকায় নিয়ে জাকির হোসেন, নাজমুল হোসেন, রাসেল, আবু বক্করসহ আসামীরা প্রথমে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারপিটসহ নির্যাতন চালায়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি ভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পাকুন্দা কড়ইতলা পুকুরের কচুরিপানার নিচে গুমে উদ্দেশ্যে লুকিয়ে রাখে। পরে খবর পেয়ে সেখান থেকে জাহিদুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আইনৃশংলা পরিস্থিতি অস্থিতিশিল থাকায় এবং রাস্তাঘাট বন্ধ থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই জাহিদুলের মরদেহটি দাফন সম্পন্ন করা হয়। পরে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গত ১৬ আগস্ট নিহতের মা পুষ্প আক্তার বাদী হয়ে ২৪ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত ৫/৭ জনকে আসামী করে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওবায়দুর রহমানের উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেন।

নুর মোহাম্মদ অভিযোগ করে আরো জানান, ঘটনার প্রায় দুই মাস পার হয়ে গেলেও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। আসামীরা প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আসামী গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে দলীয় নেতাকর্মীসহ এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অব্যাহত রেছেছেন।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনারগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেন, আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। গ্রেফতরের চেষ্টা চলছে।