মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

|

কার্তিক ৬ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

স-ন্ত্রা-স কালো টাকার ছড়াছড়ি বন্ধে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২২:০৭, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

স-ন্ত্রা-স কালো টাকার ছড়াছড়ি বন্ধে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই

ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর সভাপতি মাও. হাবিবুল্লাহ হাবিব বলেছেন, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রত্যেক ভোটারের ভোটের মূল্যায়ন হয়। কোন ভোট বিফলে যায় না। তিনি বলেন, নির্বাচনে যে দল মোট প্রদত্ত ভোটের যত শতাংশ পাবে, সেই অনুপাতে সংসদে প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে। বিশ্বের অনেক দেশে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি অনুসরণ করছে। অনেক আগেই আমরা প্রস্তাব রেখেছিলাম। আমরা ধারাবাহিকভাবে এ দাবিতে আন্দোলন করে আসছি দীর্ঘদিন থেকে। বিগত ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের দাবি নিয়ে মাঠে কাজ করছে। এটা করলে ছোট দলগুলো আর বৈষম্যের শিকার হবে না। পিআর সিস্টেমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে মনোনয়ন বাণিজ্য ও দুর্নীতিও থাকবে না। প্রতিটি ভোটের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হবে। মানুষের ভোটের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হলে দেশ গড়ায় তারা আরো উৎসাহিত হবে।

শুক্রবার বিকাল ৩ টায় ৮নং ওয়ার্ডের ডিএনডি লেক পাড়ে  ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সামাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি আলহাজ্ব সিরাজ মোল্লার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি আলতাফ হোসেন গাজী, নগর সেক্রেটারি ফারুক হাওলাদার, থানা আন্দোলন সভাপতি বিল্লাল হোসেন, সেক্রেটারি হাফেজ আব্দুল্লাহ আল ফারুক, দ্বীনি সংগঠনের সভাপতি মাও. মাসুম বিল্লাহ, ছাত্র আন্দোলন সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ সানভীর প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

তিনি আরও বলেন, এ দেশ চারবার স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতা অর্জন করলেও আমাদের থেকে বৈষম্য দূর হয় নাই। একাত্তরে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, কিন্তু আমরা এগুলো ভুলে গিয়ে ভারতের নীতি আদর্শ গ্রহণ করেছিলাম। সুতরাং ভারতের সংবিধানে যে চারটি মূলনীতি রয়েছে বাংলাদেশের সাংবিধানে সে মূলনীতি গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি বলেন, বিগত হাসিনা সরকার দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, তার কর্মচারী, পিএসরা শত শত কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। ৯৮ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে লুট করে নিয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, যতদিন ইসলামী অর্থব্যবস্থা দিয়ে দেশ পরিচালিত না হবে ততদিন এদেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। বিগত দিনে আমরা আওয়ামী লীগের শাসন দেখেছি, বিএনপির শাসন দেখেছি, জোটের শাসন দেখেছি, এরশাদের শাসন দেখেছি, কিন্তু কোনো দুর্নীতি কমে নাই, মানুষের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন হয় নাই।

সভাপতির বক্তব্যে বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা। সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করে জনগণকে বাঁচাতে হবে। তিনি যানজট কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পতিত সরকারের প্রেতাত্মা এখনও বিভিন্ন প্রশাসনে বসে ষড়যন্ত্র করছে। ফ্যাসিবাদের দোসরদের কঠোরভাবে বয়কট করতে হবে

আরো পড়ুন