ফাইল ছবি
আন্দোলনকারীদের যেন খানপুর হাসপাতালে কোন চিকিৎসা না দেওয়া হয় এরকম নির্দেশ দিয়ে রেখেছিল নারায়ণগঞ্জের- ৪ আসনের সাবেক এমপি শামীম ওসমান।
নারায়ণগঞ্জ পোস্টের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে ১৮ জুলাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মসূচিতে চাষাঢ়ায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ইসলামী আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ একথা বলেন।
মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, ১৮ জুলাই ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশ ছিল প্রত্যেক জেলা শহর গুলোতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশ করার জন্য, সেই নির্দেশের হিসেবে ১৮ জুলাই আমরা আমাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করি।
তিনি বলেন, আমাদের গণসমাবেশের শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্য ছিল কিন্তু অত্যন্ত নেক্কারজনক ভাবে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা করে।
হামলার বর্ণনা দিয়ে মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ধারালো বিভিন্ন অস্ত্র, লাঠি ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। তারা আমাকে মেরে ফেলার জন্য আমার দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করেছিল, পরবর্তীতে আমার সংগঠনের ৮-১০ জন এসে আমাকে ঘেরাও দিয়ে অন্যত্র সরিয়ে ফেলে।
আহত সংগঠনের কর্মীদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে শান্তিপূর্ণ গণ সমাবেশের অনুমতি নিয়ে আমরা বিক্ষোভ ও গণসমাবেশটি করি তারপরও ছাত্রলীগের অতর্কিত হামলায় আমাদের সংগঠনের প্রায় ১০ জন কর্মী মারাত্মকভাবে আহত হন কিন্তু আমরা তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা পর্যন্ত দিতে পারেনি ফার্মেসি থেকে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
মাসুম বিল্লাহ আক্ষেপের সাথে বলেন, যেখানে আমি এবং আমার সংগঠনের কর্মীরা আহত হয়েছে উল্টো আমাকেই প্রধান আসামি করে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় পরের দিন সকালে। আসলে তারা চেয়েছিল হামলা মামলা নির্যাতন করে আন্দোলনকে দমিয়ে দিবে কিন্তু আন্দোলন দমে নেই যার প্রতিফলন মানুষ দেখতে পেরেছে ৫ আগস্ট।