ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে আত্মগোপনে আছেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নারায়ণগঞ্জে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, হত্যা, টেন্ডারবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও আন্দোলন দমনে অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে ছাত্র জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আন্দোলনের শুরু থেকেই নারায়ণগঞ্জে শিক্ষার্থীদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সম্রাট ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাসেল প্রধান। এছাড়াও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাফেল, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু, ও ছাত্রলীগ নেতা আহমেদ কাউসারের নেতৃত্বে ছাত্রদের ওপর ১৭ জুলাই থেকে লাগাতার হামলা চালান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এসময় অটোমেটিক রাইফেল, পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্র জনতার ওপর গুলি করতে দেখা গেছে তাদের। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসকল ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সদস্যরা ছাত্রলীগের এসকল নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে এদের প্রায় সকলেই আত্মগোপনে আছেন বলে জানা গেছে।
বিগত ১৬ বছর ধরেই আওয়ামী লীগের শাসনামলে নারায়ণগঞ্জে অপ্রতিরোধ্য ছিল ছাত্রলীগ। শহরের ফুটপাতে চাঁদাবাজি, গার্মেন্টসের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল ছাত্রলীগের নেতারা। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল করতে গিয়ে ধরা পড়েও সমালোচিত হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগের পদধারী নেতারা। তবে আওয়ামী লীগ সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের আশীর্বাদে পার পেয়ে যান ছাত্রলীগের নেতারা।
তাদের বিরুদ্ধে ঢাকায় গিয়ে ঢাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগও পাওয়া গেছে সেসময়।