ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলার ভুয়া এজাহার তৈরি করেছে এক প্রতারক। পরে এজাহার থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১২ লাখ চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি উপজেলার তারাব পৌরসভার বরপা এলাকার।
ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন সেনাবাহিনী ও রূপগঞ্জ থানাসহ কয়েকটি দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা পাননি। উল্টো ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনকে হুমকি দিচ্ছে ওই প্রতারক।
আনোয়ার হোসেনের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, উপজেলার তারাব পৌরসভার বরপা এলাকায় একটি হোসিয়ারি কারখানা আছে তার। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর রূপসী গাজী টায়ার কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। কারখানার ভেতরে অগ্নিকাণ্ডে ১৮৫ জন নিখোঁজ হন।
এদিকে মোয়াশেল নামে এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে তারাব পৌর যুবলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সরকারের পতনের পর ঐশী বাংলা নামে একটি পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে শুরু করেন তিনি। গত ১৮ আগস্ট সোনারগাঁও থানা হত্যা মামলার ভুয়া এজাহার তৈরি করে আনোয়ার হোসেনকে মামলার ৫ নম্বর আসামি বলে জানায়।
পরে মামলার এজাহার থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে ৬০ হাজার টাকা দাবি করলে ৩০ হাজার টাকা নেন। পরে গত ২৮ আগস্ট রাতে গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাটের ঘটনায় আনোয়ার হোসেনের নামেও মামলা হয়েছে বলে আরেকটি ভুয়া মামলার এজাহার তৈরি করেন। এ মামলার এজাহার থেকেও আনোয়ার হোসেনের নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে প্রথমে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও পরে ৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা চেকের মাধ্যমে নিয়ে ক্যাশ করে ফেলেন। পরে মোয়াশেল ও তার লোকজন আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে আরও ৩ লাখ চাঁদা দাবি করলে তিনি দেননি।
এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেন রূপগঞ্জ থানা ও সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অভিযুক্ত মো. মোয়াশেল ভূঁইয়া বরপা এলাকার আয়েস আলীর ছেলে। আনোয়ারের অভিযোগ অভিযুক্ত মোয়াশেল তার সরলতার সুযোগ নিয়ে মোট ১২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত মো. মোয়াশেল ভূঁইয়া বলেন, আনোয়ার হোসেন আমার কাছ থেকে চেক দিয়ে ১২ লাখ টাকা নিয়েছেন। ইতোমধ্যে চেকটি ডিজনারও করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি ঐশী বাংলা পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের কপি চান প্রতিবেদকের কাছে। কপি পাওয়ার পর একাধিকবার মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।