বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন
বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন বলেছেন, দীর্ঘ ১৭ মাস তিনি জেলে ছিলেন। জেলে থেকে চিকিৎসা চেয়েছেন, বারবার অন্তত টেস্ট করাতে দিতে আবেদন করেন। কিন্তু তারা সেটা করতে দেয়নি, বলেছেন উপরের নির্দেশ আছে। সেখান থেকেই ক্যান্সার হয় তার। কিন্তু তিনি আমাদের বুঝতেও দেননি। ৫ আগষ্ট তিনি বিশাল মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে পর্যন্ত গিয়েছিলেন। নেতৃত্বের দিক থেকে তিনি এক নম্বর ছিলেন। গত কয়েক যুগেও কেউ তার সমান হতে পারেনি। রুহুল আমিন গাজীর মত নেতা পেতে আমাদের বহু বছর অপেক্ষা করতে হবে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন গাজীর স্মরণসভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে আসার পর গাজী ভাইয়ের চিন্তাভাবনা পাল্টে যায়। এখানে জীবন ভাই, মাসুদ ভাই, দিপু ভাইদের দেখে তিনি অবাক হয়ে যায়৷ তিনি তখন বললেন এখান থেকে একটা ভোটও অন্য কোথাও যাবে না এবং সেটাই হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৪ আগষ্ট শেষ সভা করেছিলেন তিনি। তাকে আমরা বলেছিলাম যেকোন মূল্যে আমরা আপনার চিকিৎসা করাবো। সেদিন তাকে আমরা কাঁদতে দেখেছি৷ এমনভাবে আর কখনও তাকে কাঁদতে দেখিনি। জেলে যাওয়ার আগে তার কিডনিতে অপারেশন হয়েছিল। জেলে যাওয়ার আগ মুহুর্তে ডাক্তার বলেছিল আপনার ইনফেকশন হয়েছে। এটা কোন অবস্থায় আছে আমরা জানি না। এখন যে অবস্থায় আছে আপনি চলতে পারবেন কিন্তু প্রতি মাসে একবার করে দেখাতে হবে। এর পরপরই তিনি অ্যারেস্ট হন।
তিনি বলেন, এরশাদও বন্দুক নিয়ে গদি রক্ষার চেষ্টা করেছিল। টিকতে পারেনি। তেমনি ফ্যাসিস্ট সরকারও টিকতে পারেনি। রাজনৈতিক দলগুলো যখন কোণঠাসা তখন সাংবাদিকেরা প্রেসক্লাবের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল। এজন্যই ফ্যাসিস্ট সরকারের ওপর তাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ ছিল।
তিনি বলেন, শামীম ওসমানের মত লোক খেলা হবে বলে বলে পুরে দেশ মাথায় তুলেছিল। সেই শামীম ওসমানকে এই প্রেসক্লাব পাত্তা দেয়নি। যেই সন্ত্রাসী হোক। প্রেসক্লাবে হামলা হলে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। মামলা দিয়ে আপনারা টিকতে পারবেন না। আমাদের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেলে আমরা ছাড় দেব না। আমরা আবারও রাজপথে নামবো।