দোয়া মাহফিল
নারায়ণগঞ্জে মওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর কমিটির আয়োজনে শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং শ্রমজীবীদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মওলানা ভাসানীর জীবনী এবং ভাসানীর বক্তব্য প্রচার করা হয়।
দোয়া মাহফিলে নারায়ণগঞ্জ জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন নেতাদের নেতা। যাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ঐক্যের সূচনা হয়েছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলো রাষ্ট্রীয়ভাবে কিংবা রাজনৈতিক দলগুলো মওলানা ভাসানীকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয় নি। বিগত স্বৈরাচার সরকার বাংলাদেশের ইতিহাস এবং মুক্তিযুদ্ধকে দলীয়করণ করে জাতীয় নেতাদের অবদানকে মুছে দেবার চেষ্টা করেছে। পাঠ্যক্রম থেকেও মওলানা ভাসানীসহ অন্যন্য জাতীয় নেতাদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন মওলানা ভাসানী। আবার বিএনপির নির্বাচনী মার্কা ধানের শীষ ছিল ভাসানীর মার্কা। তার বাইরে বাম দলগুলোর ও আস্থা এবং ভরসার জায়গাও ছিল মওলানা ভাসানী। বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা মওলানা ভাসানী আজীবন খেটে খাওয়া মানুষের এবং কৃষিপ্রধান সমাজের আপোষহীন নেতা ছিলেন। যিনি ৯০ বছর বয়সেও দেশের নদ-নদী রক্ষাসহ ফারাক্কা বাঁধের বিরোধিতা করে লংমার্চ করেছিলেন। ভাসানী আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং ঐক্যের প্রধান নেতা সুতরাং তাকে এড়িয়ে কোনভাবে বাংলাদেশের ইতিহাস রচিত হতে পারে না।
মহানগর গণসংহতির সমন্বয়কারী নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যূত্থান বৈষম্য মুক্তির নতুন বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে। স্বৈরাচারের দোসররা এখনো নানা মাত্রায় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিদ্যমান স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনে গণসংহতি আন্দোলন লড়াই করছে। জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী মুক্তির দিশা আকারে আমাদের সামনে হাজির আছেন।
এর আগে সকালে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি, নারী সংহতি, মহানগর হকার সংহতি, গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ মাওলানা ভাসানীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপ্রধান অঞ্জন দাস, গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রানী সরকার, জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন আলম, জেলা কমিটির অর্থ সম্পাদক নাজমা বেগম, জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জাহিদ সুজন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সদস্য সচিব মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, ১৮ নং ওয়ার্ড কমিটি আহ্বায়ক শুক্কুর মাহমুদ জুয়েল, মহানগর কমিটির দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইব্রাহীম, মহানগর হকার সংহতির সভাপতি জসীম উদ্দিন হীরা প্রমুখ।