ফাইল ছবি
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ)দেলাওয়ার হোসাইন সাকী বলেছেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে নিজেদেরকে প্রমাণ করেছে। সুতরাং ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসী দলের পুনর্বাসন দেশের জনগণ মেনে নিবে না। প্রধান উপদেষ্টা দ্য হিন্দুকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, যে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতায় তার কোন আপত্তি নেই, বিএনপি চায় নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ করতে হবে। বিএনপি বড় দল হিসেবে তাদের মতামত উপেক্ষা করতে পারি না।
আজ ২২ নভেম্বর শুক্রবার বাদ জুমআ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নাসিক ২২নং ওয়ার্ড শাখার বন্দর ১নং খেয়া ঘাটে অনুষ্ঠিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ২২নং ওয়ার্ড শাখা সভাপতি হাজী মুহাম্মাদ সালমান সাকলের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, সহ-সভাপতি নুর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. শামসুল আলম, হাবিবুল্লাহ মেছবাহ, মাও. শাহজালাল, আবুল হাশেম, সুমন, রফিকুল ইসলাম, ডা. আব্দুল্লাল আল মামুন, আবু সাঈদ আমিরাবাদী, শাহ আলী, আবু তাহের, ক্বারী রফিকুল ইসলাম, আবু রাকিব, সাঈদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি বলেন, গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত শেখ হাসিনা ও তার দল বিচারের আগে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টাকে কোন নির্দিষ্ট দলের ইচ্ছাপুরণের জন্য ক্ষমতায় বসানো হয়নি। গণহত্যাকারী হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগকে বিচারের আগে কোনভাবেই পুনর্বাসন করার ক্ষেত্র তৈরি করা মানে দেড় হাজার শহিদ ও ২০ হাজার আহতের রক্ত ও ত্যাগের সাথে গাদ্দারী করা।
মুফতি মাসুম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন কার্যক্রম উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য সরকারের কাজের গতি শ্লোথ বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সরকারের কর্মস্পৃহা আর শাণিত করতে হবে। অতিদ্রুত দ্রব্যমূল্যের উর্দ্বগতি রোধ এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে। সংস্কার কমিটিগুলোর কাজে গতি ফিরিয়ে এনে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
সভায় বিকৃত রুচির সমাজ বিধ্বংসী ইসলামবিদ্বেষী এবং হেফাজত গণহত্যার সমর্থনকারীকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে অপসারণের দাবি জানানো হয়।