ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকে অস্তিত্ব সংকটে আছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের রাজনীতি। আওয়ামী লীগের জন্মস্থান দাবী করা জেলাটিতে দলের ঝান্ডা তুলে ধরার মত লোক পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ গোপালগঞ্জের পর নারায়ণগঞ্জকে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে দাবী করতেন নেতারা।
৫ আগষ্ট সকাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে মাঠে ছিলে আওয়ামী লীগ নেতারা। এদিন দুপুর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে ছাত্র জনতার ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপুরে সরকার পতনের খবর চাউর হলে পালিয়ে যান তারা। এঘটনার পর নারায়ণগঞ্জের রাজপথে আর দেখা যায়নি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি কর্মসূচির কোন কর্মসূচিতে মাঠে দেখা যায়নি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের।
ছাত্র জনতার আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জে ছাত্র জনতার ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর নারায়ণগঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে অভিযান চালান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।
আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ১৯ জুলাই নারায়ণগঞ্জ শহরজুড়ে ক্যাডারদের নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করেন তারা। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় সেসময় ঘটনা প্রচার না হলেও পরবর্তীতে ইন্টারনেট সংযোগ স্বাভাবিক হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে এসকল ঘটনা।
৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নারায়ণগঞ্জের প্রায় সকল প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এদিকে সরকার পতনের পর গণমাধ্যমে শামীম ওসমান ও তার বাহিনীর বর্বরতা উঠে আসে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানান, এমন গণহত্যার পর কোন রাজনৈতিক দল বা রাজনীতিবিদের রাজনীতিতে ফিরে আসা অসম্ভব। ছাত্র জনতার ওপর অস্ত্র হাতে গুলি চালিয়ে নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবারের রাজনৈতিক অধ্যায়ের ইতি টেনেছেন তিনি। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের অস্তিত্বও ফেলেছেন হুমকির মুখে।