ফাইল ছবি
বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখার নেতাকর্মীদের স্থানীয় অবস্থান জানান দেবে সংগঠনগুলোর নেতারা।
এর মধ্যে কোন নেতার অবস্থান ও কর্মী সমর্থক কত বেশী তাও কেন্দ্রের সামনে জানান দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে প্রতিটি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা প্রস্তুতি নিয়েছেন।
১১ ডিসেম্বর (বুধবার) ‘ঢাকা টু আগরতলা’ লংমার্চ কর্মসূচির পালন করবে বিএনপির তিন সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদল।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয় থেকে সকাল ৮টায় শুরু হবে এই লংমার্চ কর্মসূচি। পথিমধ্যে সকাল ৮ টা ১০ মিনিট থেকে ১০ টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্ট পার করবে লংমার্চেগামী নেতাকর্মীরা। এসময় এসব পয়েন্টে লংমার্চকে স্বাগত জানিয়ে অংশ নেবে নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনগন।
জানা যায়, এ অবস্থান হবে স্থানীয় জেলা ও মহানগরের দায়িত্বশীল তিনটি সংগঠনের নেতাদের নেতৃত্বে। তাদের স্থানীয় অবস্থান ও সেখানে নেতাদের প্রভাব ও কর্মী সমর্থকদের অবস্থান দেখানো হবে নেতাদের। তিন সংগঠনের নেতারাও নিজেদের চোখে কোন এলাকায় কোন নেতাদের প্রভাব বেশী ও কোন সংগঠন সবচেয়ে সংগঠিত তা দেখতে পারবেন।
দলীয় একাধিক সূত্র জানায়্ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের দিকে লক্ষ্য রাখবে তিন সংগঠনের দায়িত্বশীল একটি টিম। এই টিম বিভিন্ন স্থানে কোথায় কোন সংগঠনের প্রভাব বেশী তা রিপোর্ট করবেন কেন্দ্রে। পরবর্তীতে কমিটি ও দলের বিভিন্ন দায়িত্ব প্রদানের সময় এ রিপোর্ট কাজে লাগাবে কেন্দ্র।
এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি নিয়েছেন বিভিন্ন পয়েন্টে লংমার্চকে স্বাগত জানাতে এবং নিজেদের অবস্থান জানান দিতে। ইতোমধ্যে হাজার হাজার ব্যানার ফেস্টুন প্ল্যাকার্ড তৈরী করা হয়েছে। এর মাঝে কাঁচপুর ও পাঁচরুখীতে দুটি পথসভা হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এ দুটি পথসভাকে ঘিরে স্থানীয় নেতাকর্মীরা আরো ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন।
ভারতের আগরতলা বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, পতাকা অবমাননা, ভারতের মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলমান তথ্য সন্ত্রাস এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনগুলো।