নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৩১ দফা কর্মশালা
আমরা বিএনপি পরিবারের কেন্দ্রীয় আহবায়ক আতিকুর রহমান রুম্মন বলেছেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক। আপনারা জানেন ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের আগের দিন পর্যন্ত তারেক রহমানকে নিয়ে ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া যে বানোয়াট গল্প করেছেন। তারেক রহমান চাইলে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে তার পত্রিকায় লিখতে পারতেন। তিনি চাইলে আমাদেরও উস্কে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি নিজেও লিখেননি কাউকে লিখতেও বলেননি। তিনি যে জননেতা তা তিনি প্রমান করেছেন।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৩১ দফা কর্মশালা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ১/১১ থেকে কয়েকদিন আগ পর্যন্ত বলা হয়েছে তারেক রহমান বিশ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলায় উল্লেখ ছিল শুধু বিশ লক্ষ টাকা। আমাদের নেতা কিন্তু সেটা অবৈধ ভাবে নেননি। ওটা একটা সাপ্লিমেন্টারী কার্ড ছিল। এ কার্ড দিয়ে তিনি তার আত্মীয়দের কাছ থেকে ধার নিয়েছিলেন। সেই বিশ লক্ষ টাকাকে বিশ হাজার কোটি টাকা বানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি কখনও আমাদের বলেননি দিনকালে তোমরা এভাবে লেখো ওভাবে লেখো।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যারা শহীদ হয়েছেন গুম হয়েছেন এমন প্রায় ১৫ শ পরিবারকে তিনি দেখভাল করেন। আমাদের মাধ্যমে তিনি এগুলো করেন। এই নারায়ণগঞ্জেও অনেক পরিবারের দেখাশোনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম তারেক রহমান তার সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যেতেন একা। আর শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের পেছনে পর্যন্ত এসএসএফ ঘুরেছে। এই এসএসএফের বেতন হয় আমাদের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে। তারেক রহমান কখনও এগুলো করেননি। তিনি একজন আত্মপ্রচার বিমুখ নেতা।
তিনি বলেন, তারেক রহমান বলেছিলেন সমাজের তিন শ্রেনীর মানুষকে রাজনীতির উর্ধে থাকা উচিত। তারা হল চিকিৎসক, পাইলট ও শিক্ষক। আমাদের উচিত এই তিনটি জায়গায় যেসকল লোকেরা রাজনীতির ঊর্ধ্বে তাদের নিয়োগ দেয়া।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য (কেন্দ্রীয় দপ্তরে সংযুক্ত) আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু প্রমুখ।