মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন
বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, আমরা আশা করি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতার লোভে পড়ে স্বৈরাচার হয়ে উঠবে না। যে সকল সংস্কার না করলেই নয়, সে সকল সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া, এটি চলতেই থাকবে। সংস্কারের অযুহাতে গণতন্ত্র বিঘ্নিত করা যাবে না, নির্বাচনকে পিছিয়ে দেয়া যাবে না। জনগণের কাছে আমরা রাষ্ট্র মেরামতের কথা বলবো পাশাপাশি জনগণকে বলব কোন ষড়যন্ত্র হলে তারা যেন আমাদের পাশে দাঁড়ায়। আমরা জনগণকে নিয়েই সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবো।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতে উত্থাপিত ৩১ দফা দাবীর কর্মশালা বাস্তবায়ন ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির প্রস্তুতি সভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, সামনে আমাদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এতবছর সংগ্রাম করেছি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একটাই উপায়, যে জনগণ তাদের পছন্দমত ব্যক্তিকে নেতা নির্বাচিত করবে। তারা দেশ পরিচালনা করবে।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্য দাবী জানিয়েছে। আমরা আশা করছি ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই আমাদের প্রতিটি এলাকায় যেতে হবে এবং মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারলেই তারা আমাদের কথায় ধানের শীষের প্রার্থীকে ভোট দিবে।
বহির্বিশ্বের বা পতিত স্বৈরাচার যদি নির্বাচনকে ঘিরে ষড়যন্ত্র করে তাহলে আমাদের আরেকটি প্রস্তুতি রাখতে হবে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্যে পোঁছাবো, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো। এত আন্দোলন করেছি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, এখন কেন পারবো না গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য।
তিনি বলেন, তারেক রহমান আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন যেন আমরা এই ৩১ দফা কর্মসূচি জনগণের কাছে নিয়ে যাই। থানা বিএনপির অধীনের যে ওয়ার্ডগুলো আছে সেখানেও এমন কর্মশালা প্রয়োজন। তারপর পাড়া মহল্লা ও ঘরে ঘরে গিয়ে লিফলেট বিতরণ করা হবে। আমি ওয়ার্ড বিএনপিকে নিয়মিত সভা করার আহ্বান জানাচ্ছি। শুধু থানা ও জেলার নেতাদের সাথে মেলামেশা করলেই চলবে না। এখানে কেন সবাই দাওয়াত পায় না, অনেকে ক্ষুব্ধ হয়। এতে দলে অনৈক্য তৈরি হয়। থানা বিএনপিকেও মাসে অন্তত দুটি সভা করতে হবে।