ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা দাবী মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে সম্প্রতি দাউদপুর ইউনিয়নে উঠান বৈঠক করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু। উঠান বৈঠকের কর্মসূচি থাকলেও দিপু ভূঁইয়ার আগমনের খবরে তা জনসভায় রূপ নেয়।
দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি এই কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল প্রচুর। বিশেষত নারীদের অংশগ্রহণ ছিল এখানে চোখে পড়ার মত।
মলত বিএনপি আগামীতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে জনগণের জন্য কী কী করবে তা নিয়েই আয়োজিত হয়েছে কর্মসূচিটি। এসময় সাধারণ জনগণ তাদের চাওয়া পাওয়া ও নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন তাদের নেতার কাছে। জনতার প্রশ্নের জবাবে ৩১ দফার আলোকে কীভাবে তাদের সমস্যাগুলোর সমাধান ও মানুষের জীবন মান উন্নয়ন করবে বিএনপি তা জনগণকে বুঝিয়ে বলতে থাকেন দিপু ভূঁইয়া। এভাবেই দেখতে দেখতে উঠান বৈঠকটি জনসভায় রূপ নেয়।
এছাড়াও দিপু ভূঁইয়াকে ঘিরে তরুণদের উচ্ছ্বাস ছিল ব্যাপক। শিক্ষা, চিকিৎসা ও বেকারত্ব দূরীকরণ কীভাবে সম্ভব তা ৩১ দফার আলোকে বুঝিয়ে বলেন দিপু।
উঠান বৈঠক শেষে নিজ বক্তব্যে দিপু ভূঁইয়া বলেন, বিএনপির আমলে সবসময় আপনারা কৃষকদের পণ্য ন্যায্য দামে কিনতে পেরেছেন। কৃষি সবচেয়ে বড় শিল্প। আমরা আশি শতাংশ কৃষকের ওপর নির্ভরশীল। তাই তারেক রহমানের নির্দেশ টাকা দিতে না পারলেও ফ্রীতে তাদের কীটনাশক দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, কীটনাশক, গোখাদ্যসহ সকল কৃষিপণ্যের দাম তিনগুণ বেড়ে গেছে। বিগত সতেরো বছরে একমন কোন জায়গা নেই যেখানে করাপশন ঢুকেনি। আপনি তিনগুণ দাম দিয়ে কিনেও সেটা অরিজিনাল ঔষধ কীনা তা জানতেন না। যাদের গরু ছাগল আছে তাদের চিকিৎসার কথা আপনারা বলেছেন। গরু ছাগল বাদ দিন৷ মানুষের চিকিৎসার ব্যাবস্থাই তারা রাখেনি। বিগত সতেরো বছরে এ দেশকে শেষ করতে যা যা করা দরকার তারা তা করেছে।
এরকম রূপগঞ্জের প্রতিটি ইউনিয়নে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মানুষের কাছে কাছে যাচ্ছেন দিপু। যেখানে তিনি যাচ্ছেন সেখানেই জনতার ঢল নামতে দেখা গেছে।