ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ফয়সাল রূপগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রী অফিসের অফিস সহকারী পদে বহাল তবিয়্যতে আছেন। সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রূপগঞ্জ ছেড়ে পালালেও নিয়মিতই অফিস করছেন ফয়সাল। টানা ৭ বছর একই পদে থেকে উচ্চ প্রভাব বিস্তারের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
ফয়সালের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতিসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। রূপগঞ্জের সাবেক এমপি ও মন্ত্রী গেলাম দস্তগীর গাজীর লেক হিসেবে পুরো উপজেলা জুড়ে পরিচিতি রয়েছে তার। অফিস সহায়ক হয়েও পুরো অফিস জিম্মি করে রেখেছেন ফয়সাল। অফিস কেন্দ্রীক একটি সিন্ডিকেটও গড়ে তুলেছেন তিনি। জমিজমা সংক্রান্ত কাজে ভূমি অফিসে গেলেই মোটা অংকের টাকা দিতে হয় ফয়সাল ও তার সিন্ডিকেটকে। এমনকি সেখানে তার প্রভাব ব্যাপক।
এর আগে রূপগঞ্জের তৎকালীন এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীর তদবিরে অফিসে চাকরি পান ফয়সাল। বিগত সাত ধরে বছরের অফিস সহকারি পদে চাকরি করছেন তিনি। গাজীর বিরুদ্ধে রূপগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে জমি দখল ও জোরপূর্বক অন্যের জমি লিখে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও খাস জমি দখলে সহায়তা ও জাল দলিল তৈরি করে জমি দখলে গাজীকে সাহায্য করেছেন ফয়সাল। অভিযোগ আছে, রূপগঞ্জে এভাবেই শত শত বিঘা জায়গা দখল করেছেন গাজী।
গাজীর জমি সংক্রান্ত সকল অপকর্মের অন্যতম সহযোগী ছিলেন ফয়সাল। গাজীর হয়ে সাব রেজিস্ট্রী অফিসের নথি পরিবর্তন, জাল দলিল তৈরি ও জমির মালিকদের জোরপূর্বক জমি বিক্রি করতে বাধ্য করতেন ফয়সাল। এছাড়াও গাজীর জমিজমা সংক্রান্ত সকল দালিল লেখার কাজ করতেন ফয়সাল। এমনটা অভিযোগ স্থানীয়দের।
আওয়ামীলীগের শাসনামলজুড়ে রূপগঞ্জের রেজিস্ট্রী অফিসের দলিল লিখক ও সেবা প্রত্যাশীদের সাথে খারাপ ববহার করার অভিযোগ রয়েছে ফয়সালের বিরুদ্ধে।