ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। সাইনবোর্ড এলাকায় ছাত্র জনতার উপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হামলা শুরু করলে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ইকবাল।
আন্দোলন সংঘাতে রুপ নিলে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকেই তৎপর হয়ে ওঠে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতারা। মূল শহর ও ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট আলাদা করে দলীয় নেতাকর্মীদের দায়িত্ব বন্টন করে দেয়া হয়। সাইনবোর্ড এলাকার দায়িত্ব পান ইকবালসহ সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতারা।
১৭ জুলাই যাত্রাবাড়ির টোল প্লাজায় অগ্নিসংযোগ করা হলে দক্ষিণ বঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ঢাকা। ১৭ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত মহাসড়কটি আন্দোলনকারীদের দখলেই ছিল। এসময় যাত্রাবাড়ি থেকে শুরু করে কাঁচপুর পর্যন্ত পুরে এলাকা আন্দোলনকারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাথে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিনত হয়।
১৮ জুলাই থেকেই বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে মহাসড়কে অবস্থান নেন ইকবাল। মহাসড়কে বাস, ট্রাকসহ শতশত যানবাহনের চাকার হাওয়া ছেড়ে সড়ক অবরোধ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। কিছুদূর পরপরই এমন ব্লকেড ছিল সাইনবের্ডের প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে।
১৯ জুলাই ইন্টারনেট শাটডাউন ও দেশব্যাপী কারফিউ জারি করলে কারফিউ ভেঙেই মহাসড়ক কেন্দ্রীক আন্দোলন চালিয়ে যান ইকবালসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা। আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা ও আন্দোলন সফল করতে আন্দোলনের প্রথম ভাগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ইকবাল।
২৬ জুলাই কারফিউ শিথিল হলে পুনরায় দলীয় নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে শুরু করেন ইকবাল। জুলাইয়ের শেষের দিকে দ্বিতীয় দফায় আন্দোলন শুরু হলে পুনরায় মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকা দখলে নেয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।
২ ও ৩ আগষ্ট সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আক্রমনাত্মক হয়ে উঠলে নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে প্রতিরোধ গড়ে তলেন ইকবাল। ৪ আগষ্ট বিকেলে এক দফার ঘোষণা আসলে ঢাকার অন্যতম প্রবেশপথ সাইনবোর্ডে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের তুমুল সংঘর্ষ বাধে। ইকবালের নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীদের শক্ত প্রতিরোধের মুখে পুলিশ পিছু হটলে ৪ আগষ্ট রাত থেকেই হাজার হাজার মানুষ পায়ে হেঁটে ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
৫ আগষ্ট সকালেও সাইনবোর্ড এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবুও বিশাল নেতাকর্মীর বহর নিয়ে ঢাকা যাত্রা করে বিএনপি। দুপুরের পর শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সাইনবোর্ড এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে মহাসড়ক এলাকা দখলে রাখতে ভূমিকা পালন করেন ইকবাল।আবার আরেক গ্রুপ নেতাকর্মী নিয়ে ঢাকাও যাত্রাবাড়িতে বিশাল অংশগ্রহণ করেন তার নেতাকর্মীরা।