কাজী মনিরুজ্জামান মনির
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির বলেছেন, গাজী সাহেবের কারখানায় বিশ থেকে পঁচিশ হাজার শ্রমিক ছিল। গাজী সাহেবের কারখানা বন্ধ হওয়ায় অনেক শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে অনেকে তাদের ছেলেমেয়ের স্কুলের বেতন দিতে পারবে না, ঔষধ কিনতে পারবে না, বাজার করতে পারবে না। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে সে ব্যাপারে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) রূপগঞ্জে ম্যাক্স গার্মেন্টসে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে আমি ম্যাক্স গড়ে তুলেছিলাম সেই ম্যাক্সের উত্থান, এগিয়ে যাওয়া সবই তোমাদের হাত ধরে। বছরের একটি দিন চলে গেছে। আমি শুধু তোমাদের বলতে চাই ২০২৫ সাল বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ও বাংলাদেশের জন্য খারাপ সময়। বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস শিল্প সরিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। বায়ার চলে গেলে অর্ডার পাবো কীভাবে।
তিনি বলেন, ওরা গন্ডোগলের জন্য বাংলাদেশে আসতে চায় না। বিদেশে বসে অর্ডার দেয়। বলে, বাংলাদেশে আমাদের সরকার আমাদের বাংলাদেশে যেতে দিতে চায় না।
আমি আজ এখানে এসে আনন্দিত। মন থেকে করা যেকোন কাজে আমার ভালবাসার সম্পর্ক থাকে। আজকের এ অনুষ্ঠান গার্মেন্টসের প্রতিটি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আমি মন থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনাদের হাতে এ প্রতিষ্ঠানের জন্ম। অনেকেই আজ থেকে বিশ পঁচিশ বছর ধরে এখানে কাজ করছেন। এ শিল্পের জন্ম, শৈশব ও কৈশর আমার জানা আছে।
মনির বলেন, আমি ২০০৮ সালে ও ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছি। অথচ আমি আমার ভোটটি দিতে পারিনি। এটা কী কোন নির্বাচন হল। আমি রাজনীতি করি যাই করি, ম্যাক্সকে বাদ দিয়ে আমি কোন কিছু করবে না।