নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, পাঁচ আগষ্টের ছাত্র জনতার এই বিপ্লবের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন আমাদের নেতা তারেক রহমান৷ তার নির্দেশে ছাত্রদের সাথে থেকে এই পাঁচ আগষ্ট ঘটানো হয়েছে। শুধুমাত্র বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৪৮৭ জন এ আন্দোলনে নিহত হয়েছে।
শনিবার (১৯ জানুয়ারি) শহরের মিশনপাড়া এলাকায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিবে এটাই আমাদের আশা। আমাদের দাবী আপনারা প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দিন। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। এটাই স্বাভাবিক।
আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। বর্তমানে কিছু নেতা নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের জন্য আওয়ামী লীগের সি ও ডি টিম নিয়ে চলে। তাদের কারণে বিএনপির বদনাম হয়৷ তাদের ঠাই বিএনপির কোথাও হবে না৷ অনুপ্রবেশকারীরা দলের শত্রু। যারা তাদের স্থান দিবে তাদের বিরুদ্ধে দল শক্ত অবস্থান নিবে।
শেখ মুজিবের ব্যার্থতার গ্লানি মুছে মেজর জিয়া এই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সব মানুষ সেদিন পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। তিনি শুধু ঘোষণা দেননি, রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছিলেন।
গণতন্ত্রের জন্য যে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল আওয়ামী লীগ মাত্র এগারো মিনিটে এই সংসদে সেই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। চারটি বাদে সকল পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের সাত নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবে শহীদ রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিল।
১৯৮১ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে দেশীয় ও বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। সেসময় স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিল।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ এমন একটা দল যারা দেশের চেয়ে বেশি ভারতকে প্রাধন্য দেয়। ২০০১ সালে বিএনপির অভূতপূর্ব বিজয় অর্জনের পরেও ষড়যন্ত্র হয়েছে। এক এগারোর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্রকে চির বিদায় দেয়ার চেষ্টা করেছিল। আওয়ামী লীগ তত্বাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা বাতিল করেছিল শুধুমাত্র শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য।