সমাবেশ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, নিউইয়র্ক খালেদা জিয়া তারেক রহমান মুক্তি পরিষদের নেতৃবৃন্দের সংবর্ধনা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন এবং দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ৩ ফেব্রুয়ারি ডিআইটিতে খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদ নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির আয়োজন করে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর বেপারী সঞ্চালনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাওছার আশা সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি রফিকুল ইসলাম রতন। প্রধান আলোচক ছিলেন, খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আরিফুর রহমান মোল্লা, সংবর্ধিত অতিথি বিএনপির নিউইয়র্ক সভাপতি যুক্তরাষ্ট্র ও খালেদা জিয়া তারেক রহমান মুক্তি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি সহ-সভাপতি মোঃ অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান, সহ-সভাপতি শাহিন আলম। এ সময় সম্মানিত অতিথি ছিলেন, খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি সহ-সভাপতি রবিউল আলম রুহীন, খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি জয়েন্ট সেক্রেটারি মোঃ বশির আহমেদ, মো: উজ্জ্বল হোসেন, ফারুক আহমেদ, হাবিবা চৌধুরী বিথী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী ফারুক হোসেন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সাবেক অর্থ সম্পাদক সুজন মাহমুদ।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাওছার আশা বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া যতদিন বন্দি ছিলেন ততদিন দেশটাও বন্দি ছিলেন। এই দেশে বাক স্বাধীনতা ছিলো না, সংবাদপত্র স্বাধীনতা ছিলো না। পুলিশ বাহিনীকে পেটুয়া বাহিনীতে রূপান্তরিত করেছিলো। খালেদা জিয়া মুক্তি সাথে সাথে দেশে মানুষ স্বাধীনতা লাভ পেতে শুরু করেছে। এটা যদি শরীরের বেশি ঘায়ে লাগিয়ে ফেলে বিপদ কিন্তু অপরিহার্য। আপনারা দেখেছেন তারেক রহমান বার বার ম্যাসেজ দিয়ে যাচ্ছেন, তিনি কিছু বলতে চাইচ্ছেন কিন্তু বুঝতে চেষ্টা করছি না, অথবা বুঝেও না বুঝে থাকছি। যারা বিএনপি করেন তারা কিন্তু এখনো ত্যাগে মধ্যে আছেন। আর যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলেন, তারা ভুইফোড় সংগঠন করছেন। তারা বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজী করে আমাদের দলকে নষ্ট করার পায়তারা করছেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামীলীগ নিয়ে কি বলবো, কোন মতে ক্ষমতা গেলে না মাইর খেয়ে নামেই না। কোনমতে ক্ষমতায় যায়, পরে জনগণ তাদের জোর করে নামিয়ে দেয়। ৭৫ এর মত ২৪ও একই ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামীলীগের একটা সংগঠন ছাত্রলীগ, বর্তমানে এটা হয়ে গেছে সে”রালীগ। এখন থাকে অনলাইনে, এই বক্তব্যে দিলাম, সেটা নিয়ে ব্যঙ্গ করবো। তাদের পলানো নেত্রী বলেছিলো, আমাদের ক্ষমতা ছেড়ে দেয় তাহলে ৪/৫ লাখ মানুষকে হত্যা করবে। কোথায় কি হয়েছে, এটা আমাদের ভুল হয়েছে। শহীদ জিয়ার আদর্শ রাজনীতি কারণে তাদের ক্ষমা করে দিসে। ফেসবুক খুললে দেখি তারা নাকি আসছে? কখন দেখি রিক্সাওয়ালা, আনসার অন্তরালে আসেন, কখনো চোরের ভেসে আসে, কখনো ডাকাতের ভেসে আসে। শহীদদের রক্ত দাগ শুকাই নাই। গামেন্টস শ্রমিক রিক্সাওয়ালা সহ আমার বন্ধুও রক্ত দিয়েছে। সন্তান হারা মায়েদের চোখে পানি শুকাই নাই। আপনারা জাতির কাছে মাফ চাওয়া দরকার ছিলো না। কোন ভুল স্বীকার করা বালায় নাই, আপনারা নিজেদের এক খোদা মানেন। আল্লাহ গজব পড়েছে, আমাদের নেত্রী আপনাদের গজবের কথা বলেছিলো। নেত্রী দেশ ত্যাগ করে চিকিৎসা নেয়নি, তিনি দেশে এসেছেন। এখন হাসিনা পালিয়েছে, শেখ মুজিব কবর জিয়ারত করতে আসতে পারেনি। নারায়ণগঞ্জ গডফাদারে এলাকা বুক ফুলে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমাদের দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীদের প্রতি নজর রাখবেন কেন্দ্র।
আশা ক্ষোভে আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ মামলার বাণিজ্যে শুরু করেছেন। আমাদের ছাত্রদল যুবদল স্বেচ্ছাসেবকদলের সহ শ্রমিক দলের নেতাদের হত্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে। একজন আজকের জামিনে মুক্ত করেছি। একজন ছাত্রলীগ আটক করে দেয় একদিন পর জামিনে বের করে দেয়। আদালতে আওয়ামীলীগের আইনজীবী নাই, তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা কারণে এখন পালিয়ে রয়েছে। বিএনপি কতিপয় দুস্কৃতিকারী ল’ইয়ার আছেন আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগকে জামিন করিয়ে দিচ্ছেন। আওয়ামীলীগের মাথা নেই, এখন লেজ নিয়ে ঘুরাফেরা করি। এদের প্রতিহার করুণ। আওয়ামীলীগের কারো সাথে সমঝোতা করার সুযোগ নাই, তারা ছাত্র-জনতা আলেমদের হত্যা করেছে। তাদের শরীরের শহীদদের রক্ত, তাদের কোন ক্ষমা নাই। ১৭ বছরের অত্যাচার জুলুমে অভিশাপে ধ্বংস হয়েছে আওয়ামীলীগ। যারা টিএসসিতে ছিলেন তারা একক সরকার পতনের বুক ফুলাতে চায়।
খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আরিফুর রহমান মোল্লা বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিএনপিকে বাদ চেষ্টা করে। ওই সময় হাইকোর্টে কাকে বিএনপি দিবে এমন তালবাহান চলছিলো। ২০০৭ সালে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান মুক্তি দাবিতে মুক্তি পরিষদ ঘোষনা করি। প্রতিদিন হাইকোর্ট সহ রাজপথে মুক্তি পরিষদ কাজ করেছি। ২০০৮ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি ঘোষনা করে কাজ শুরু করে। আজকে মহানগর খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদ কমিটি বিলুপ্ত করা হলো। নতুন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে জাহাঙ্গীর বেপারী ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাছিরকে ঘোষনা করা হলো। উপদেষ্টা আলাল ভাইকে নিয়ে মুক্তি পরিষদ কথা বলেছিলাম খালেদা জিয়ার সাথে। তিনি ২০১৮ সালে জেলে যাবার আগে বলেছিলেন, তারেক রহমান মুক্ত নয়-খালেদা জিয়ার মুক্ত নয় বাংলাদেশ যখন পর্যন্ত মুক্ত না হবে ততদিন মুক্তি পরিষদ চলবে। জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবে যেসব ছাত্র-জনতা হতাহত হয়েছে তাদের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না।
খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি রফিকুল ইসলাম রতন বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া ও প্রয়াত মহাসচিব নিদের্শে এই মুক্তি পরিষদ করা হয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে সারাদেশে প্রতিটি জেলা ও মহানগর কমিটি করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জও কমিটি দিয়েছিলাম, এখনও জেলা কমিটি বহাল রয়েছে। মহানগর কমিটি আজকে ঘোষনা করা হবে। আঙ্গুর নেড়ে বিএনপি কর্টাক্ষ করতো, এখন তারা নেই আমরা আছি। তারা যদি আগে বাংলা জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে আসতে হবে। বিএনপির আগামী দিনগুলোতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করবে। খালেদা জিয়া-তারেক রহমান মুক্তি পরিষদ আগামী নির্বাচন পর্যন্ত কাজ করার প্রস্তুতি নিতে হবে। স্বৈরাচারি হাসিনা মত দল যেন কেউ না করে। আগামী দিন দেশে উন্নতশীল করার লক্ষ্যে বিএনপি কাজ করে যাচ্ছে।