ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে উপজেলা তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহম্মেদকে দলে পাল্টে সংগঠনে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে। রাসেল নিজেকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিয়ে রূপগঞ্জের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হওয়ার চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা গেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ আহমেদ টুটুল ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমানের ছবির পাশে নিজের ছবি সংবলিত পোস্টার লাগিয়েছেন রাসেল আহম্মেদ।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রূপগঞ্জের তৎকালীন এমপি ও মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সাথে রাজনীতি করতেন রাসেল। গাজীর পুত্র পাপ্পা গাজীর সাথেও সেসময় তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। গাজী পরিবারের আশির্বাদে রূপগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়ে যান রাসেল।
পাঁচ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই কাজী মনিরের বলয়ে ভিড়তে চেষ্টা করছিলেন রাসেল। সেসময় দল অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তৎপর হওয়ায় তখন দলের ঢুকতে পারেননি তিনি৷ পরবর্তীতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করে বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়েছেন রাসেল।
দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জানান, বিগত আন্দোলন সংগ্রামে যারা দলের সাথে বেইমানি করেছিল তাদের দলে ফিরিয়ে আনলে ভবিষ্যতে এর জন্য কঠিন মাশুল গুনতে হবে। এসকল নেতারা শুধু দলের সাথে বেইমানি করেনি, বরং আওয়ামী লীগের সাথে মিলে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। এ ধরনের বেইমানদের দলে যায়গা দেয়া দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সাথে বেইমানির শামিল।
