
প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যে হিসেব নিকেশ করতে শুরু করেছেন ভোটাররা। বড় দুই দলের একটি রাজনীতির মাঠ ফ্যাসিস্ট তকমা নিয়ে গণহত্যায় অভিযুক্ত হয়ে দূরে থাকায় ভোটারদের সামনে এবার একাধিক শক্ত বিকল্প নেই। এর ফলে ছোট দলগুলোর ভোট অপ্রত্যাশিত ভাবে বাড়তে পারে।
নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনেই শক্ত অবস্থান রয়েছে বিএনপির। প্রতিটি সংসদীয় আসনে নির্দিষ্ট ভোট ব্যাংক রয়েছে দলটির। নির্বাচনের মাঠে সবচেয়ে বড় দল হিসেবে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে বিএনপি। এর ফলে দলটিকে ঘিরে সাধারণ ভোটারদের রয়েছে বাড়তি আশা।
এদিকে ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে নিজেদের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ব্যাপক নির্যাতিত ও নিপীড়িত হয়েছিল। এর ফলে সাধারণ ভোটারদের মনে দলটির জন্য বাড়তি সহানুভূতি রয়েছে।
এর বাইরেও নারায়ণগঞ্জ শহরে শক্ত অবস্থান রয়েছে ইসলামি আন্দোলনের মত ইসলামি সংগঠনের। বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এই দলের প্রার্থী ভাল ফলাফল করেছিল। জিততে না পারলেও তাদের ফলাফল ছিল আশাব্যাঞ্জক।
সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে নিজেদের বিকল্প হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইসলামিক দলগুলো।